ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সংবিধানে বিসমিল্লাহ- ইসলাম, দায় যেনো শেখ হাসিনার: সুরঞ্জিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১১
সংবিধানে বিসমিল্লাহ- ইসলাম, দায় যেনো শেখ হাসিনার: সুরঞ্জিত

ঢাকা: সংবিধান সংশোধনে বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি বলেছেন, সংবিধানে বিসমিল্লাহ শেখ হাসিনা আনেননি। ৩৫বছর ধরেই সংবিধানে এটি আছে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামও শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ আনেনি। ২৫বছর ধরেই এটি রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে আছে। তারপরও সমস্ত দায় যেনো শেখ হাসিনার।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘গোঁজামিলে সংবিধান নয়, ৭২’এর সংবিধান চাই’ শীর্ষক সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।  

সংবিধানের সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সবেমাত্র একটা খসড়া দাড় করাচ্ছি। যেখানে প্রতিটি সদস্য তাদের মতামত দিচ্ছেন। আমরা চেষ্ঠা করছি মতপার্থক্যগুলো কমিয়ে আনতে। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার সঙ্গে এ খসড়া ও মতপার্থক্যের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

আদিবাসীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আদিবাসীরা যে অবদান রেখেছিল তা সংশোধিত সংবিধানে তার স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা সব সদস্য একমত হয়েছি।

অর্পিত সম্পত্তি আইন কেন হয়নি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ২০০১ সালে আমরা এটির খসড়া পর্যন্ত তৈরি করে গেছি। তারপরও আজ পর্যন্ত ্এটি আইনে পরিণত করা হয়নি। সুবিধাভোগীরা এটি আইনে পরিণত করতে দেয়নি। কোনো দাবি করতে এবং তা আইনে পরিণত করতে হলে দাবির প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে। বলা ও চাওয়া এক হতে হবে।

সুরঞ্জিতের প্রতি প্রশ্ন রেখে মহিউদ্দীন খান বাদলের অবৈধ ব্যক্তির সংবিধান রক্ষার জন্য কিসের এতো আকুতি।   আগামী বারের টিকিটের জন্যই কি এতো মায়া এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, ৮ম সংশোধনীতে  রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আনা হয়। আদালত থেকে যখন এই সংশোধনী বাতিল বলে ঘোষণা করা হয় তখন এই দুই অংশের এক অংশ বাতিল ও আরেক অংশ রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রেখে দেওয়া হয়। এক যাত্রায় দুই ফল হতে পারে না। আজ যারা কথা বলছেন সেই সব সংবিধান বিশেষজ্ঞ- আইনজ্ঞরা সেদিন কথা বলেননি। আমি সুরঞ্জিত জীবনের প্রথম থেকে যে বিশ্বাস নিয়ে কাজ করেছি, তা নিয়ে এখনও আছি।

বিসমিল্লাহ- রাষ্ট্রধর্ম বাদ দিতে আজকে বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলছেন, রাজনীতিবিদ, সেক্টর ফোরাম নেতারা কথা বলছেন, দাবি আদায়ে ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন তাতে আমার আশা হচ্ছে এবার কিছু করা সম্ভব হবে। আমার বিশ্বাস জনগণের দাবির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী দাড়াবেন না।

সমাবেশ থেকে অস্তিত্ব রক্ষায় বৃহত্তর স্বাথে ঐক্যমঞ্চ গঠনের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্তের সভপাতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি,  বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাসদের কার্যকরী সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল, আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দীন মাহমুদ, ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।