ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রমজানের পর ‘উপযুক্ত কর্মসূচি’ দেবে বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১০
রমজানের পর ‘উপযুক্ত কর্মসূচি’ দেবে  বিএনপি

ঢাকা: সরকারের আচরণ পরিবর্তন না হলে রমজানের পর ‘উপযুক্ত কর্মসূচি’ দেবে বিএনপি। রমজান জুড়ে চলবে ওই কর্মসূচির প্রস্তুতি।



রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কথা জানান।

শনিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিএনপি।

নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ২৬ টি প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের যে জুলুম চলছে তা প্রতিরোধে সাংগঠনিক কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাব তোলেন জেলা নেতারা। এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। ’

তিনি বলেন, ‘যদি সরকারের আচরণ পরিবর্তন, অন্যায়-অত্যাচার বন্ধ ও রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা না হয় তাহলে রমজানে প্রস্তুতি নিয়ে রমজানের পর উপযুক্ত কর্মসূচি দেওয়া হবে। ’

সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে জেলা ও উপজেলা কার্যালয় নিশ্চিত করে ফোন-ফ্যাক্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। একই সময়ের মধ্যে এলাকার কার্যক্রম তদারকি করে কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’

সংবিধান সংশোধন ও যুদ্ধাপরাধ ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। বিষয়টি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ’

তিনি জানান, নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ৪৩৯ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ৩৬১ নেতা উপস্থিত হন। জেলবাস, নিখোঁজ হওয়া, বিদেশ গমন, অসুস্থতা ইত্যাদি কারণে বাকিরা উপস্থিত হতে পারেননি।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের ৬০ জন বক্তব্য রাখেন। সব মিলিয়ে দিনব্যাপী বৈঠকে শতাধিক নেতা বক্তব্য রাখেন। ওয়ান-ইলেভেনের পর এলোমেলো হয়ে পড়া দল সংগঠিত করার উদ্যোগ নেওয়ায় খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানান তারা।

বৈঠকে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতারা। সুস্থ হয়ে দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।

বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের নিন্দা জানানো হয়। মিথ্যা মামলায় আটক মির্জা আব্বাস, এহছানুল হক মিলন, নাসির উদ্দিন পিন্টু, আব্দুস সালাম পিন্টু প্রমুখের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, জয়নুল আবদীন ফারুক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় প্রেসকাব সভাপতি শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। বিএনপিকে সমর্থন করার জন্য নির্যাতিত নেতাদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করা হয় বৈঠকে। চৌধুরী আলমকে জনসম্মুখে হাজির করতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।

বিনামূল্যে সার দেওয়ার কথা বলে সরকার কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে উল্লেখ করে অবিলম্বে পর্যাপ্ত সার সরবরাহের দাবি তোলা হয় বৈঠকে।

নজরুল ইসলাম খান জানান, তৃণমূল নেতারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ সহজ ও অবারিত করার দাবি জানালে খালেদা জিয়া বৈঠকে বলেন, যে কোনো নেতাকর্মীই প্রয়োজনে তার কাছে এসে কথা বলতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকার সাবেক সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad