ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর!

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ নিয়ে ধূম্রজাল

ফিরোজ আমিন সরকার, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১১

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ পলাশকে নির্জন এলাকায় নিয়ে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছর গঠিত কমিটিতে বাদ পড়া ছাত্রলীগ ও জেলা যুবলীগের একটি অংশ রোববার রাত ১১টার দিকে শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে পাটিয়াডাঙ্গী এলাকায় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে যায়।

সেখানে তার কাছে ১৭টি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে এলাকা ছাড়ারও হুমকি দেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, এরপর থেকে পলাশ নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন।

অপর একটি সূত্র জানায়, গত বছর ১২ মে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পানি সম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনসহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা  উপস্থিত ছিলেন।

পরিস্থিতির কারণে সেদিন ফখরুল ইসলাম জুয়েলকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ পলাশকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সেই থেকে ছাত্রলীগের একটি অংশ নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মেনে নিতে পারেনি। বিরোধী ওই অংশটি নয়া কমিটি বাতিলের দাবিতে মাঠে নামে।

এদিকে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল পূর্নাঙ্গ কমিটি তৈরি করে ছাত্রলীগ সভাপতি ফখরুল ইসলাম জুয়েল ঢাকায় জমা দিতে যান। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিরোধী অংশের নেতা-কর্মীরা পরদিন শহরের চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচিসহ প্রতিবাদ সভা করে।

সভাশেষে জেলা আওয়ামীলীগ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যদেন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান পুলকসহ অনেকেই।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ওই কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত ও কিশোর-বালকদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ওই রাতেই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশের বাড়িতে বিক্ষুব্ধরা হামলা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় পলাশের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্র নেওয়ার ঘটনা ঘটে বলে সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে পলাশ ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঝুঁকি নিয়ে আর কিছু করতে চাচ্ছি না। ’
 
অপরদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি ফখরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘জোর করে পদত্যাগপত্র নেওয়া অগনতান্ত্রিক। ’

তবে যুবলীগের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ আপেল। তিনি বলেন, ‘এটি ছাত্রলীগের ব্যাপার। ’

এছাড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক কুরাইশী ‘এ ঘটনা আমিও শুনেছি’ উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা অনাকাঙ্খিত। অভিযোগ পেলে সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি দেখা হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ১৭ মে, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।