চট্টগ্রাম: বিএনপি থেকে নির্বাচিত রাউজান পৌরসভার মেয়রকে কার্যালয়ে যেতে না দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে আওয়ামী লীগ।
একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসলীম উদ্দিন খান বলেন, ‘রাউজান পৌরসভার মেয়র ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য কার্যালয়ে যাচ্ছেন না। আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মী তাকে কার্যালয়ে যেতে কখনো বাধা দেয়নি। ’
লিখিত বক্তব্যে সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী বলেন, আওয়ামীলীগের বাধার কারণে রাউজান পৌরসভা চেয়ারম্যান দাপ্তরিক কাজকর্ম করতে পারছে না বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবাহমশব, অসত্য ও হাস্যকর।
তার দৈনন্দিন দাপ্তরিক কাজকর্মের প্রমাণ পৌরসভা কার্যালয়ের বিভিন্ন নথিতে পাওয়া যাবে। ’
এরআগে গত শনিবার উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও রাউজানের মেয়র কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে পৌরসভা কার্যালয়ে যেতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর সঙ্গে তার ভাই গিকা চৌধুরীর একাত্তরের মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য কর্মকান্ডের ফিরিস্তি জনসম্মুখে প্রকাশ হয়ে পড়ায় তিনি ভীত ও হয়ে প্রলাপ বকতে শুরু করেছেন। ’
সংবাদ সম্মেলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদেরকেও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এতে বলা হয়, ‘যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী ও গিকা চৌধুরী তাদের অনুগত সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন এলাকায় লেলিয়ে দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নস্যাৎ করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
সাকা ও গিকার লালিত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম ও রাউজান পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘন্টা, মে ১০, ২০১১