ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

চলতি মাসেই হরতালের হুমকি ইসলামী আন্দোলনের

‘পরিস্থিতিতে মরা গরুর গোস্ত খাওয়াও জায়েজ আছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, মে ২, ২০১১
‘পরিস্থিতিতে মরা গরুর গোস্ত খাওয়াও জায়েজ আছে’

ঢাকা: চলতি মাসেই হরতালসহ কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী  সৈয়দ মুহাম্মদ রৈজাউল করীম।

জাতীয় নারীনীতি ২০১১, শিক্ষানীতি ২০১০ ও ফতোয়া বিরোধী হাইকোর্টের রায় সম্পর্কে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সুপারিশ মেনে না নিলে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে এ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


 
সোমবার দুপুরে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রেজাউল করীম এ কথা বলেন।

এ সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী ইসলামের ভেতরে মরা গরুর গোস্ত খাওয়াও জায়েজ আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নারীনীতি, শিক্ষানীতি, ফতোয়াবিরোধী রায়, সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ’, আল্লাহ’র উপর পূর্ণ আস্থা, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উঠিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষতা সংযোজনের ব্যাপারে আমাদের আপত্তির কথা জানিয়ে গত এক-দেড় বছর ধরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছি। কিন্তু আমাদের কোনো সুপারিশই আমলে নেয়নি সরকার। ’

এরই মধ্যে দলের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, প্রধান বিচারপতি, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি বরাবর সুপারিশ সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে বলেও জানান রেজাউল করীম।

মুক্তাঙ্গনে রোববারের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে রোববার আমরা মুক্তাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু সরকারের পুলিশ বাহিনী বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। ’
চলতি মাসেই হরতাল পালনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে  গেছে। এখন সাফ কথা- আমাদের দাবি মেনে না নিলে ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে চলতি মাসেই হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। ’

‘জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আপনার মরহুম পিতা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ ফজলুল করিম সব সময় হরতালের বিরোধীতা করতেন। আপনি কেন হরতালের কথা বলছেন?’ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ইসলামের ভেতরে মরা গরুর গোস্ত খাওয়াও জায়েজ আছে। তাছাড়া আমার মরহুম পিতা সরাসরি কখনো হরতালের বিরোধীতা করেননি। তবে তিনি হরতাল এড়িয়ে চলতেন। ’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের  কোনো সমঝোতা হয়নি। আমরা শান্তি-শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করেই গণ-অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছি। সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হলে সোমবার সকালেও আমাদের নেতাকর্মী  গ্রেপ্তার হলো কিভাবে?’

সংবাদ সম্মেলন  থেকে ৪  মে দেশব্যাপী থানায় থানায় জন সমাবেশ ও ৫ মে মুক্তাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা করেন মুফতি রেজাউল করীম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মো. ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোক্তার  হোসেন, নুরুল হুদা ফয়েজি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মে, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।