ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সংবিধান কমিটিতে পাঠানো খালেদার চিঠি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১১
সংবিধান কমিটিতে পাঠানো খালেদার চিঠি

ঢাকা: সংবিধান সংশোধন বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার মতামত নিতে চেয়েছিলো সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটি। কমিটির চেয়ারপারসন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এক চিঠিতে কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসার আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে।

সেই আমন্ত্রণ অনুযায়ী সোমবার সংবিধান কমিটির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংবিধান কমিটির বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিরোধী দলীয় নেতা। কমিটির চেয়ারপারসনের পাঠানো চিঠির জবাব তিনি দেন চিঠিতেই। বাংলানিউজের পাঠকের সুবিধার্থে চিঠিটি অবিকল এখানে প্রকাশ করা হলো।


মাননীয় চেয়ারপারসন,
সংবিধান সংশোধনের লক্ষে গঠিত বিশেষ কমিটি ও সংসদ উপনেতা

আসসালামু আলাইকুম, দীর্ঘ ৯ মাস আগে ২১ জুলাই-২০১০ তারিখে সংবিধান সংশোধনের লক্ষে গঠিত বিশেষ কমিটির একটি বৈঠকে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পরামর্শ/মতামত দান করার জন্য ২০ এপ্রিল -২০১১ তারিখে লিখিত আপনার পত্রের জন্য ধন্যবাদ জানাই।    

উপরোক্ত বিষয়ে আমাদের বক্তব্য নিম্নরুপ-

আপনার পত্রের সঙ্গে কোনো কার্যপত্র বা সংবিধান সংশোধনের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখা হয় নাই বা ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে সরকারি গেজেট দ্বারা যে সংবিধান প্রকাশিত হয়েছে তার কপিও সংযুক্ত করা হয় নাই।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে সরকার কর্তৃক গেজেট দ্বারা পূর্ণাঙ্গ সংবিধান প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, মুদ্রিত সংবিধানই দেশের বর্তমান সংবিধান। অথচ সংসদকে পাশ কাটিয়ে সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘণ করে এই সংবিধান ছাপানো হয়েছে।

দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ যখন এই মুদ্রিত সংবিধানকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রয়াস হিসেবে প্রত্যাখান করে তখন সংবিধান সংশোধনীর বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান জানালেন যে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালের প্রকাশিত সংবিধানটি একটি খসড়া সংবিধান। যার উপর ভিত্তি করে বিশেষ কমিটি আজ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় নানা রকমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যা আপনার পত্রের সাথে সংযুক্ত করা হয় নাই।

দেশের মৌলিক পবিত্র দলিল সংবিধানকে নিয়ে সরকারের পরস্পর বিরোধী সাংঘর্ষিক বক্তব্য এবং পদক্ষেপসমূহ দেশে এক চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। যার নিরসন অত্যাবশ্যক। সংবিধান সংশোধনীর ব্যাপারে সরকারের সঠিক অবস্থান কি তা দেশের জনগণ এখনো জানে না।

উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে সংবিধান সংশোধনের জন্য আপনি যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তা দূরভিসন্ধিমূলক। তাই আমরা মনে করি যে বিশেষ কমিটির এই প্রস্তাব যেহেতু সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার একটি অপকৌশল মাত্র, সেহেতু এই বৈঠক অর্থবহ হবে না।    


আপনার বিশ্বস্ত

খালেদা জিয়া
বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।