ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির কেন্দ্রীয় সভায় তৃণমূলের পরামর্শ

কঠোর কর্মসূচি দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার চেয়ে ধীরে চলা ভালো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১১
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার চেয়ে ধীরে চলা ভালো

ঢাকা: ‘কঠোর কর্মসূচি দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার চেয়ে ধীরে চলা ভালো’ বলে মনে করছেন বিএনপির তৃণমূল নেতারা। শনিবার সকাল  পৌনে ১১টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শুরু হওয়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় এ মনোভাব প্রকাশ করে ধাপে ধাপে আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন তারা।


 
পাশাপাশি আন্দোলন সামনে রেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পূর্ণ মহাসচিব করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ দিয়েছেন।

জেলা কমিটি গঠনে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আহবান জানিয়ে জেলা নেতারা আরো বলেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠন আরো শক্তিশালী করতে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হোক। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হোক। চামচা-চাটুকার মুক্ত করা হোক দলকে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৮ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিলের পর এটা বিএনপির নির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় সভা।

সভা শুরুর প্রাক্কালে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মঞ্চে আসেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তারই সভাপতিত্বে শুরু হয় সভা। সমবেতদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন তিনি।

বিকেল ৩টায় সভাস্থল ত্যাগ করে দলীয় কার্যালয়ে চলে যান বিএনপিপ্রধান। মধ্যাহ্নভোজন ও আসরের নামাজের পর সভাস্থলে ফিরে আসেন তিনি।

এদিকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাগত বক্তব্যের পর দুপুর ২টা পর্যন্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ১২ জন। প্রথম বক্তা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

এরপর খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, কুষ্টিয়ার সাবেক এমপি মেহেদী আহমেদ রুমী, কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, সংরক্ষিত আসনের এমপি রেহেনা আক্তার রানু প্রমুখের নাম যোগ হয় বক্তা তালিকায়।

সভায় ৩৮৬ সদস্যের নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ উপস্থিত ছিলেন বলে নিশ্চিত করে দলীয় সূত্র।

উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আরএ গনি, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, তরিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শমসের মবিন চৌধুরী, রাজিয়া ফয়েজ, হারুন আল রশিদ, সাদেক হোসেন খোকা, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ক্যাপেন্ট (অব.) শাহজাহান ওমর, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক এমএ মান্নান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ড. ওসমান ফারুক, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।

সকালে খালেদা জিয়া মঞ্চে ওঠার পর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।

শুরুতেই শোক প্রস্তাব পাঠ করেন যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি শোক প্রস্তাব তোলেন মহাসচিব অ্যাডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, মীর শওকত আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কমর উদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য দস্তগীর চৌধুরী, সাবেক হুইপ ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহেদ আলী চৌধুরীসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নিহত নেতাকর্মীদের নামে।
দুপুরের পর দ্বিতীয় অধিবেশনে তৃণমুল নেতাদের বক্তব্য শোনেন চেয়ারপারসনসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।  
এসময় বক্তব্য  দিতে গিয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, ‘এক এগারোর সময় যারা জিয়া পরিবারকে মাইনাস করার চেষ্টা করেছে তারাই এখন খালেদা জিয়ার আশপাশে রয়েছে। ’
রেহেনা আকতার রানু এমপি বলেন, ‘মান্নান ভূঁইয়া এগারো বছর ধরে দলের মহাসচিব ছিলেন। এগারোটি জেলাও তিনি সফর করেননি। প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার ছিলেন অসুস্থ। তাই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে ৬৪ জেলায় সফর করতে হবে। ’

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, ‘অবিলম্বে ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হোক। ’
ভিপি সাইফুল ইসলাম তার বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত’র তকমামুক্ত করে মহাসচিবে হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান। এ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম রানা ও সাবেক এমপি নেওয়াজ হালিমা আর্লি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে খায়রুল কবির খোকন, ইয়াসিন রশিদ, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খানসহ ৪০ জন বক্তব্য দিয়েছেন।

সমাপনী বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ।  
 

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad