ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে কমিটি করেছে আওয়ামী লীগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১১
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে কমিটি করেছে আওয়ামী লীগ

ঢাকা : বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে দায়ের করা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশের জন্য দলের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা এ কমিটিতে আছেন।



২৩ এপ্রিল শনিবার এই কমিটি প্রথম বৈঠকে বসছে। সকাল ১১টায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ধানম-ির কার্যালয়ে কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত সরকারি কমিটির সুপারিশের বাইরে যেসব মামলা রয়েছে এবং যারা সরকারি কমিটির কাছে আবেদন করতে পারেননি, আওয়ামী লীগের এ কমিটির কাছে তাদের আবেদন করার আহ্বান জানানো হবে। এ কমিটি আবেদন পরীক্ষা-নিরিক্ষা এবং যাচাই করে মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করবে।

আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, দলের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ওবায়দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মির্জা আজম প্রমুখ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনেক নেতাকর্মী কান্নাকাটি করছে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে তাদের বিরুদ্ধে হয়রনিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। অনেকের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১৫টি মামলাও দেওয়া হয়েছে। এ মামলাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার জন্যই এ কমিটি করা হয়েছে। শনিবার আমরা বসবো। ’

এর আগে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামকে প্রধান করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকার একটি কমিটি করে। এ কমিটি ৭ হাজার ৩১টি রাজনেতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। এর বাইরেও অনেক মামলা রয়েছে, যেগুলোর ব্যাপারে কমিটির কাছে সুপারিশ আসেনি। গত বছর ১২ জুলাই সরকারি কমিটির কাছে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের শেষ সময় ছিলো। এই সময়ের মধ্যে অনেকেই আবেদন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের কমিটির কাছে তাদের আবেদন করার আহ্বান জানানো হবে। তাদের মামলাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রত্যাহারযোগ্য হলে দলীয় এই কমিটি সেগুলো প্র্রত্যাহারের সুপারিশ করবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সরকারি কমিটির প্রধান আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ২০১০ সালের ১২ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। এই সময়ের মধ্যে অনেকেই আবেদন করতে পারেননি। আমাদের কাছে অল্প কিছু আবেদন আছে। আর একটি বা দুটি বৈঠকে আমরা সুপারিশের কাজ শেষ করে দেবো। এ জন্যই দলের পক্ষ থেকে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৭২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।