ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

শিশু হাসপাতালে হামলা: ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পরিচালকের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১০

ঢাকা : ঢাকা শিশু হাসপাতালে গতকালের হামলার ঘটনায় হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা মেসবাহ উদ্দিন ওরফে মজিবরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ আর খান।

শনিবার রাত আটটার দিকে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি।



শেরে-বাংলা নগর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রজিবুল ইসলাম মামলা দায়েরের খবর নিশ্চিত করে বলেন, চাঁদাবাজি ও অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। যার নম্বর ৩৪।

তিনি জানান, মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মেসবাহউদ্দিন ওরফে মজিবরকে। তিনি একজন ঠিকাদার।

এছাড়া শাহিন, জাহিদুল হক বাবু ও মনাসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির সংখ্যা মোট ১০ জন।

অভিযোগ (চার্জ) গঠনের জন্য মামলার এজাহার রোববার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আহাদ জানান, মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ মজিবরকে ধরতে রাতে তার বাসায় যায়। তবে সে সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ আর খান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, শনিবার সকাল এগারোটায় হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে হাসপাতালের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির একটি সভা চলছিল। এ সময় বারান্দায় হঠাৎ কোলাহল শুনে পিয়ন মিজান এসে সভাকক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং জানায় ঠিকাদারের লোকজন এসে হাসপাতালে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ‘একটু পরেই কক্ষের মূল দরজায় সজোরে আঘাত করে তা ভাঙ্গার চেষ্টা করে হামলাকারীরা। আমরা বাইরে ফোন করে জানতে পারি হাসপাতালের কাজের সর্বশেষ টেন্ডার পাওয়া মজিবর তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা টেলিফোন অপারেটরকেও থানায় খবর দিতে দিচ্ছে না। ’

এ পরিস্থিতিতে কক্ষের ভেতরে আটকেপড়া কয়েকজন সচিবসহ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা নিজ দায়িত্বে পুলিশকে বিষয়টি জানান।

খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল ও শেরে-বাংলা নগর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) বাহিনী নিয়ে আসার মিনিট পাঁচেক আগেই মজিবুর তার দলবলসহ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়।

ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলা করার পরামর্শ দেন বলে জানান ডা. খান। ।

তিনি আরও জানান, মজিবুর তার লোকজনসহ হাসপাতালের রক্ষণাবেক্ষণ (মেইনটেন্যান্স) কর্মকর্তা প্রকৌশলী কবিরউদ্দিনকে মারধোর করে এবং সভাকক্ষে উপস্থিত ব্যক্তিদের নাম ধরে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে।

তিনি বলেন, ‘গত দু’/তিন মাস ধরে যখনই হাসপাতালের কোনো টেন্ডারের কাজ আসে তখনই এ রকম হুমকি-ধমকি শুরু হয়। ’

এ ব্যাপারে শেরে-বাংলা নগর থানার গত ২ মার্চ ও ১৮ মে’তে দু’টি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। ডায়েরির নম্বর যথাক্রমে ৯৮ ও ১০৯৫।

তবে গতকাল কোনো টেন্ডারের কাজ না থাকা সত্ত্বেও কেন এ হামলা চালানো হল সে বিষয়ে তিনি জানান, দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, হাসপাতালের প্রধান দু’ ফটকসহ এর আশেপাশের সৌন্দর্য বাড়ানোর সর্বশেষ ঠিকাদারি কাজটি মজিবুরই পান।

বাংলাদেশ সময় : ১৪১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।