ঢাকা: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাঝিরকান্দায় শনিবার পুলিশ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ওসিসহ ২০ জন আহত হয়েছে।
ছাত্রলীগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টায় দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুলের বাড়িতে দলীয় যৌথ সভায় যোগ দিতে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুর নেতৃত্বে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল বহর রওয়ানা দেয়। এসময় পুলিশ প্রথমে নবাবগঞ্জ উপজেলা বক্সনগরে তাদের বাধা দেয়। ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শ্লোগান দিয়ে মাঝিরকান্দায় পৌঁছে।
পরে দোহার ও নবাবগঞ্জের শতাধিক পুলিশ রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে নেতাকর্মীদের আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংর্ঘষ শুরু হয়।
শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ। প্রায় দেড় ঘন্টা চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
ছাত্রলীগের হামলায় দোহার থানার ওসি (তদন্ত) কামরুল ইসলাম, এস আই মিজান আহত হলে পুলিশ সত রাউন্ড গুলি ও ১২টি টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এসময় মাঝিরকান্দা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রায় শতাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং ছয়টি গাড়ি দোহার থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা রাজীব,সাইফুল ও মিরাজসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।
দোহার থানার ওসি শেখ বশির আহমেদ বলেন, সেন্টু ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র বহনের খবর পেয়ে পুলিশ তাদের গাড়ি তল্লাশি করতে গেলে তারা বাধা দেয়। এসময় পুলিশের ওপর হামলা করা হয়।
এব্যাপারে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, পুলিশ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের মদদে বিনা উসকানিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধা দিয়েছে। ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশকে অনুরোধ জানালেও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায় ও গ্রেপ্তার করে এবং তাদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১১