ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খোন্দকার দেলোয়ারের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করে আধিপত্যবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ’
শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিতি পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত নাগরিক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্র হত্যা ও বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করেছিল। তখন ছিল অত্যন্ত নষ্ট সময়। খোন্দকার দেলোয়ারই একজন সংগঠক হিসেবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ’
তিনি বলেন, ‘খোন্দকার দেলোয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আমাদের সমাজ বদলে দেওয়ার সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি রাজনীতি করেছেন খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। তিনি এ দেশের দু:সময়ে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একাই লড়ে গেছেন। ’
পেশাজীবী পরিষদ সভাপতি প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, শওকত মাহমুদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ড. মুস্তাহিদুর রহমান, ড. সদরুল আমীন, আনহ আকতার হোসেন, ডা. আজিজুল হক, অধ্যাপক ড. আফম ইউসুফ হায়দার, মারুফ কামাল খান, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এক এগারোর পর যখন বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজন হয়েছিলো খোন্দকার দেলোয়ার তখন সিপাহসালারের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা তাকে সাহসের সঙ্গে প্রত্যেকটা আক্রমণ মোকাবেলা করতে দেখেছি। ’
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘খোন্দকার দেলোয়ার কখনোই রাজনীতি করে সম্পদ আহরণের প্রতিযোগিতায় নামেননি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১১