ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মঙ্গলবার আধাবেলা হরতাল

সিলেটে ২০ দলের ঢিমেতাল হরতাল, আটক ৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
সিলেটে ২০ দলের ঢিমেতাল হরতাল, আটক ৭ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: গাজীপুরে খালেদা জিয়াকে জনসভা করতে না দেওয়া এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের ডাকা সোমবারের (২৯ ডিসেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সিলেটে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে।

হরতাল চলাকালে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীসহ সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।



এদিকে, হরতাল চলাকালে আটক বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও হত্যাসহ একাধিক মামলায় কারান্তরীন মহানগর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সিলেট মহানগর ও জেলায় মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আধাবেলা হরতাল পালন করবে ২০ দলীয় জোট।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর জজ কোর্ট এলাকায় করা এক সংবাদ সম্মেলনে আধাবেলা হরতাল পালনের ঘোষণা দেন ২০ দলীয় জোট নেতা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দিলদার হোসন সেলিম।

সোমবার ভোর থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে রিকসা ও সিএনজি অটোরিক্সাসহ হালকা যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর রাস্তায় এসব যানবাহনের আধিক্য বাড়তে থাকে। সরকারি অফিস আদালত খোলা থাকলেও লোকজনের উপস্থিতি ছিলো অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।

নগরীর কদমতলী বাসটার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহন। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিলো। বন্ধ ছিলো অধিকাংশ দোকানপাট।

হরতালের চলাকালে সকাল পৌনে ৮টায় নগরীর কাজিটুলা এলাকায় পৃথক ঝটিকা মিছিল বের করে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। এসময় তাদের মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ও রাস্তায় অবরোধ করা হয়।

জেলা ছাত্রদল সভাপতি সাঈদ আহমদের নেতৃত্বে লোহারপাড়া গলির মুখ থেকে বের হওয়া মিছিলটি রকিব শাহ মাজার রোডে গিয়ে শেষ হয়। এসময় তারা সেখানে ৫টি ককটেলের বিস্ফারণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

ঠিক একই সময়ে একই স্থান থেকে ঝটিকা মিছিল বের করে করে ছাত্রশিবির। তারা কাজিটুলাস্থ সিসিক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন সজিবের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় তারা রাস্তায় ইট ফেলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

মিছিল শেষে উভয় পক্ষই দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। মিছিলকারীরা চলে যাওয়ার পনের মিনিট পর সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার (এসি) সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাস্তায় ফেলে যাওয়া ইটগুলো সরিয়ে দেয়।

সকাল সোয়া ন’টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্ট এলাকায় হরতালের সমর্থনে বের করা মিছিল থেকে সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত অন্য দু’জন হচ্ছে- ছাত্রদলকর্মী সুমন চক্রবর্তী ও জুয়েল আহমদ।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে তাদের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন।

এছাড়া সন্ধ্যায় কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ঝটিকা মিছিল থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের ৪ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছেন  শামীম মজুমদার, আব্দুস সুবহান, লিমন ও অজ্ঞাত এক ছাত্রদল কর্মী।

বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বিকাশ দাস তাদের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া, নগরীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতাল চলাকালে সবধরণের নাশকতা এড়াতে সিলেট নগরজুড়ে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। ভোর থেকেই নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে গাড়িযোগে টহল দিতে গেছে তাদের। এছাড়া, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।