বগুড়া: ২০ দলের ডাকা সোমবারের (২৯ ডিসেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতালে সকাল থেকেই বগুড়া দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
হরতালের শুরুতে ভোর থেকেই শহরের কেন্দ্রস্থল জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি, এর উপর সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের আগমন এবং অবস্থান। দুপুর একটা বাজতেই সাতমাথা এলাকায় রিকশা ও অটোরিকশাসহ ছোট-মাঝারী যান চলাচল শুরু হয়।
বেলা পৌনে একটার দিকে সাতমাথা টেম্পল রোড থেকে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বড় আকারের মিছিল করে আওয়ামী লীগ। মিছিলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টি জামান নিকেতা, আওয়ামী লীগ নেতা রফি নেওয়াজ খান রবিন, সুলতান মাহমুদ খান রনি, শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, ডালিয়া আক্তার রিক্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে হরতাল চলাকালে আতঙ্কে বেলা ১১ পর্যন্ত শহরের কোথাও কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ দোকানপাটও ছিল বন্ধ।
আদালতসহ সরকারি অফিস ও ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক হলেও লোক সমাগম ছিল কম।
কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হলেও ট্রেন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। শহর ছেড়ে যায়নি দূর পাল্লার বাস।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বংলানিউজকে জানান, শহরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪