ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সংবিধান সংশোধন জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই হওয়া উচিত- ড. কামাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১০
সংবিধান সংশোধন জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই হওয়া উচিত- ড. কামাল

চট্টগ্রাম: গণফোরাম সভাপতি ও বাংলাদেশের মূল সংবিধান প্রণেতা ডক্টর কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধানের সংশোধন জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই হওয়া উচিত।

শনিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।



এ সময় সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে এর সমালোচনা করে বিতর্কিত করে না তোলারও আহ্বান জানান ড. কামাল হোসেন। এছাড়া দলীয় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি না করে সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়ায় বিএনপির জোরালোভাবে অংশগ্রহণ করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ড. কামাল বলেন ‘ সামরিক শাসনের মাধ্যমে করা পঞ্চম সংশোধনী সংবিধান সম্মত ছিলো না। আদালতের রায়ে তা বাতিল হয়ে গেছে। এখন সরকার শুধু আদালতের রায় বাস্তবায়ন করবে। তবে পঞ্চম সংশোধনীর বাইরে সংবিধানে সম্পূরক কিছু পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই জাতীয় ঐকমত্য দরকার। ’

সংসদীয় সংবিধান সংশোধন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের জন্য আদালতের রায়কে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু কমিটি নিয়ে বেশী আলোচনা-সমালোচনা করে এটিকে বিতর্কিত করা কারও উচিৎ হবেনা। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন কোনো একক দল বা সরকারের কাজ নয়। এটি আদালতের রায়। এখানে দলীয় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি না করে বিএনপির উচিৎ সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়ায় জোরালোভাবে অংশগ্রহণ করা। ’

সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ ও ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড.কামাল বলেন, ‘বিসমিল্লাহ থাকবে বলে সরকারই ঘোষণা দিয়েছে। আর রাষ্ট্রধর্ম অষ্টম সংশোধনীর ব্যাপার। এ সংশোধনীর জন্য আদালত কি নির্দেশনা দিয়েছেন তা এখনো পরিস্কার নয়। ’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একাত্তরে ধর্মের নামে রাজনীতির অপব্যবহার হয়েছিল। দেশে সে ধরনের রাজনীতি আবারও চালু হোক জনগণ তা চায়না। ’

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিটি গভর্নেন্স এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালায় চট্টগ্রামের মেয়র এম মনজুর আলম, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ সালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।