ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ইনুর ফাঁসি হওয়া উচিত: গয়েশ্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১১
ইনুর ফাঁসি হওয়া উচিত: গয়েশ্বর

ঢাকা: কর্নেল তাহের হত্যাকান্ডের জন্য জাসদ নেতা ও বর্তমান মহাজোট সরকারের শরিক হাসানুল হক ইনুর ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান নয়, তাহের হত্যার জন্য ইনুই দায়ী।

তার ফাঁসি হওয়া উচিত।

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জিয়া পরিষদের ২৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, যারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকার করে না তারাই আসলে যুদ্ধাপরাধী। তাদেরই বিচার হতে হবে।
 
জিয়াউর রহমানকে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করায় গোটা জাতির মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজন্য  ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্টদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ইনু জিয়াউর রহমানকে বিপ্লবী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তার প্রস্তাবে সায় দেননি। তখন তাহেরকে বিপদগামী করে ইনু। ফলে সামরিক আদালতে তাহেরের বিচার হয়। আর সেই মীমাংসিত বিষয় আজ উদ্দ্যেশপ্রণোদিতভাবে আদালতে উঠিয়ে জিয়াউর রহমানের অসম্মান করা হচ্ছে।

আদালতের রায় প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে আমরা থাকতে চাই। সামরিক আদালতের মতো আদালতের রাজত্বে থাকতে চাই না। আদালত থাকবে সংবিধান রক্ষার জন্য। এর বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা তাদের উচিত হবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপির মতো বিশাল দল আছে বলেই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে পরিপূর্ণ বাকশাল কায়েম করতে পারছে না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি, জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে থেকে মুছে ফেলা যাবে না।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, পরিষদের নেতা ড. ফরিদ উদ্দিন, এম সলিমুল্লাহ খান, মোহাম্মাদ ইব্রাহীম, ড. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।