ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আলীগের সহযোগী সংগঠনের সভায় নেতাদের ক্ষোভ

শামীম খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১১
আলীগের সহযোগী সংগঠনের সভায় নেতাদের ক্ষোভ

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় নেতারা সরকার ও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ওপরও ব্যাপক ক্ষোভ দেখান  বলে জানিয়েছে বৈঠক সূত্র।



আ’ লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডি কার্যালয়ে বৈঠকের শুরুতেই এতে সৈয়দ আশরাফ অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভের সূত্রপাত হয়। তিনিই এ সভা ডেকেছিলেন। নেতারা প্রশ্ন তোলেন তিনি যদি উপস্থিতই থাকবেন না তাহলে সভা কেনো ডাকলেন।

দীর্ঘদিন দিন সহযোগী সংগঠনগুলোর কোনো সভা হয় না, সমন্বয়ও নেই বলে অভিযোগ করেন নেতারা।  

এছাড়াও তারা বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক তাদের কোনো খোঁজ খবরও নেন না। তার সঙ্গে যোগাযোগও করা যায় না।

দল ও সরকারের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই বলেও অভিযোগ তোলেন একাধিক নেতা নেত্রী।    
তারা এও বলেন, আবদুল জলিল যখন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তখন তিনি সহযোগী সংগঠনের খোজ খবর নিতেন, নিয়মিত বৈঠক করতেন খোজ খবর নিতেন, এখন তা দেখা যায় না।

সভাসূত্র জানায়, যুব ও মহিলা লীগের সভানেত্রী নাজমা আক্তার সভায় বলেছেন, আ’লীগের তরুণ নেতৃত্ব নিয়ে আসা হলো দলকে গতিশীল করতে কিন্তু দল গতিশীল হয়নি।
 
নেতা কর্মীরা উপেক্ষিত হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের খোঁজও নেওয়া হয়না। বেকার কর্মীদের চাকরি হয়না।

নাজমা আখতার দলের সাধারণ সম্পাদকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি সভা ডেকে নিজে উপস্থিত না থেকে আমাদের আপমান করেছেন। ’

মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক অপু উকিল বলেন,  দলে এখন কর্মীদের মূল্যায়ন নেই। খাদ্য ও ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রীর ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

যুব ও মহিলা লীগের কর্মীরা খাদ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে চাকরি পায়নি। বিশ্বকাপ ত্রিকেটে ত্রিয়া প্রতিমন্ত্রী নেতা কর্মীদের টিকিটের ব্যবস্থা করেননি বলে বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অপু উকিল।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ তার ক্ষুব্ধ
প্রতিক্রিয়ায় বলেন, স্বাধীনতা দিবসের আর মাত্র সাত দিন বাকি এই সময় একটা সভা ডাকা হলো কর্মসূচি নিতে কিন্তু সাধারণ সম্পাদক নিজেই উপস্থিত থাকলেন না। তাহলে তিনি কেন আমাদের ডাকলেন?

তিন বছর পর প্রথম সভা ডাকা হলো সহযোগী সংগঠনগুলোর কিন্তু তারপরও তিনি নেই, বললেন পঙ্কজ দেবনাথ।  

রাজপথে যেসব নেতা-কর্মী নির্যাতীত হয়েছেন, দল ক্ষমতায় আসার পর তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন এই নেতা।  

সূত্র আরও জানায় সভায় আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দলের কর্মসূচিতে যেসব নেতাতের দিয়ে বক্তব্য দেওয়ানো হয় তার মধ্যে শিক্ষামূলক  কিছু নেই। তারা শুধু গলাবাজিই করছেন। অথচ অনেক যোগ্য নেতা থাকা সত্বেও তাদের বলতে দেওয়া হয়না।

বাংলাদেশ সময় ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১১
এসকে/এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।