ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির মহাসচিব পদ নিয়ে জল্পনা কল্পনা

মান্নান মারুফ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১১
বিএনপির মহাসচিব পদ নিয়ে জল্পনা কল্পনা

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার পর সকল আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমে তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন দলের নেত্রী।



খালেদা জিয়া শনিবার খোন্দকার দেলোয়ারের মরদেহ নিয়ে মানিকগঞ্জ যাওয়ার দায়িত্বও দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে।

মির্জা ফখরুল চলতি সপ্তাহেই তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে অষ্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু  খালেদা জিয়ার নির্দেশেই অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করেন তিনি।

খালেদা জিয়া ২০ মার্চ চিকিৎসার উদ্দেশে সৌদি আরব যাচ্ছেন। এ অবস্থায় দলের অনেক সিনিয়র নেতা থাকতেও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাকেই নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব আবদুস সালাম তালুকদার দেশের বাইরে গেলে বা অসুস্থ হলে তৎকালীন এক নম্বর যুগ্মমহাসচিব মান্নান ভূঁইয়াকে মহাসচিবের দায়িত্ব দিয়ে যেতেন।

পরবর্তীতে মান্নান ভূঁইয়া মহাসচিব থাকাকালে কোথাও গেলে এক নম্বর যুগ্মমহাসচিব আশরাফ হোসেনকে দায়িত্ব দিতেন তিনি।

বর্তমানেও দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরই মহাসচিবের দায়িত্ব পাওয়ার দাবিদার বলে দলের নেতা কর্মীরা মনে করেন।

বিষয়টি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানের ইচ্ছার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে।

দলের একটি সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর কাউন্সিলের মধ্যে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনকালে দলের ভবিষ্যত চিন্তা করেই মির্জা ফখরুল ইসলামকে দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব করা হয়।
 
তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আর গনি ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ ব্যাপারে কথা বলতে চাননি। তারা মনে করে বিষয়টি ‘ম্যাডাম’ নির্ধারণ করবেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘নজরুল ইসলাম খান বা মির্জা আব্বাসকেও যদি সে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

কারণ বিএনপির মতো দলে এখনো দলের চেয়ারপারসনই একক ক্ষমতার অধিকারী একথা দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে প্রতিটি রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিই স্বীকার করতে বাধ্য হবেন। ’

তিনি বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মহাসচিব নিয়োগের ক্ষমতা চেয়ারপারসনের। তিনি চাইলে যে কাউকে মহাসচিব নিয়োগ দিতে পারেন। আর তিনি যদি তা না করেন তাহলে যিনি সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রয়েছেন তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। ’
 
মহাসচিবের মৃত্যুর পর এই মুহূর্তে কে মহাসচিব হবেন তা নিয়ে দলের উচ্চ পর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি।

চেয়ারপারসনের সৌদি সফরের আগে স্থায়ী কমিটির কোনো সভা হবে কিনা সে বিষয়েও তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন মহাসচিব নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত যিনি সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব আছেন তারই দায়িত্ব পাওয়া কথা। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।