ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

৫ম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে বাকশালী শাসন কায়েম করতে চায় সরকার: খোন্দকার দেলোয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১০
৫ম সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে বাকশালী শাসন কায়েম করতে চায় সরকার: খোন্দকার দেলোয়ার

ঢাকা: দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং ৫ম সংশোধনী বাতিল করে ৭২’র সংবিধানে ফিরে যাওয়ার যে বাকশালী শাসন কায়েম করতে যাচ্ছে সরকার, তা গণআন্দোলনের মাধ্যমেই প্রতিহত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।

আজ রাতে গুলশানের বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চারদলীয় ঐক্যজোটের শরীক ও সমমনা দলগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।



সংবিধান সংশোধনে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা সংবিধান সংশোধনে কমিটি গঠনের জন্য যে চিঠি দিয়ে লোক চেয়েছিল, তার আগেই আওয়ামী লীগ কমিটি গঠন করে ফেলে। সংসদে উত্থাপনের আগেই কমিটি গঠন করে ফেলা অসাংবিধানিক।

মহাসচিব আরো বলেন, সংবিধান সংশোধন সহ যে সকল কাজ সামনে নিয়ে আসছে তা দুরভিসন্ধিমুলক।

তিনি আরো জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৫ম সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে ও আগামী ২৫ জুলাই গণ অনশন কর্মসুচি সফল করতে মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চারদলীয় ঐক্যজোটের শরীক দলগুলো।

বৈঠক শেষে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা বৈঠকে ৫ম সংশোধনী বাতিলে সকল ধরণের আন্দোলনে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের নেতাদের গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। এখন আমাদের আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আমরা সরকার বিরোধী সকল আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রাখার বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেন, আমরা দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল ধরণের আন্দোলনে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

রাত পৌনে নয়টায় বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় সোয়া এগারটায়। পৌনে তিন ঘন্টার এই বৈঠকে অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ, কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাদের, মহাসচিব আব্দুল লতিফ নেজামী, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, মহাসচিব শামীম আল মামুন, খেলাফত মসজিশ আমীর মোহাম্মদ ইসাহাক, মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজা, মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, মহাসচিব ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মুসলীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জিএ খান, মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, ন্যাপ (ভাসানি) চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক, যুগ্মমহাসচিব এমএ আজাদ খান ভাসানি, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি, মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আব্দুল মবিন, মহাসচিব এমএ রশিদ প্রধান, উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির পক্ষে চেয়ারপারসন ও মহাসচিব ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, এমকে আনোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১০


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।