ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু হত্যা মামলায় ১১ আসামির জামিন

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১১
উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু হত্যা মামলায় ১১ আসামির জামিন

নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা মামলায় জেল হাজতে থাকা ১১ অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্তদের উচ্চ আদালতের জামিননামা জমা দেওয়া হলে আদালত তা গ্রহণ করেন।



জামিন প্রাপ্তরা হলেন- রাসেল হোসেন রাপ্পু, রেজাউল করিম রিকন, গৌতম ঘোষ, হাসেম, বাবুল মোল্লা, মালেক, বাবু, হাবিব, বাদশা, আশরাফুল ইসলাম মিঠু ও লুৎফর।
 
অভিযুক্তদের আইনজীবী আরিফুর রহমান আরিফ বাংলানিউজকে জানান, গত ৮ মার্চ উচ্চ আদলাতের বিচারপতি শামসুল হুদা ও  বিচারপতি আবু বক্কর সিদ্দিকির বেঞ্চ আটক ১১ অভিযুক্তকে ৬ মাসের জামিন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত থেকে জামিননামা গ্রহণের নির্দেশ দেন।   সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের  চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উচ্চ আদালতের জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া  হলে আদালত তা গ্রহণ করে অভিযুক্ত ১১ জনকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন।

তবে জামিন প্রাপ্তদের মধ্যে লুৎফর সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় এবং ওই মামলার জামিন না পাওয়ায় তাকে জেল হাজতে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার বিকেলেই ১০ জনের জামিননামা নাটোর করাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ অক্টোবর উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুকে বনপাড়া বাজারে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।   এ ঘটনায়  ৯ অক্টোবর রাতে বাবুর স্ত্রী মহুয়া নূর কচি বাদি হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার জামিন পাওয়া  রাসেল হোসেন রাপ্পুকে মহিষভাঙ্গা এলাকা থেকে ১০ অক্টোবর ভোরে এবং ৮ নভেম্বর ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে বাদশা, আশরাফুল ইসলাম মিঠু ও লুৎফরকে আটক করে পুলিশ।

এছাড়া ১ ডিসেম্বর রেজাউল করিম রিকন, গৌতম ঘোষ, হাসেম, বাবুল মোল্লা, মালেক, বাবু ও  হাবিব আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক খোকন মোল্লা, বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কেএম জিল্লুর রহমান জিন্নাহ ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ কর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, মাসুদ সোনার, বাবু, আব্দুর রাজ্জাক ও  সৈকত।
 
তবে প্রধান অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কেএম জাকির হোসেনসহ অভিযুক্ত সেলিম, রিপন সোনার, মাহাবুব, জনি, মমিন ও আশরাফ  আটক হননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।