ঢাকা: আদালতের ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘নিজেদের ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য আদালতের ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
বুধবার রাত ১০টায় গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে ৭০ জন আইনজীবী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে যোগ দিতে তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এলে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকার ইলেক্ট্রনিক-ভোটিং চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এ ধরনের ব্যবস্থায় জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটে না। তাই এটিও মেনে নেওয়া হবে না। ’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন সাংবিধানিক সংকট চলছে। সব ক্ষেত্রেই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের দুঃশাসনে দেশের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা দেশ শাসনের পরিবর্তে বিএনপিকে ধংস করার কাজেই ব্যস্ত রয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানেই দুঃশাসন, নারী নির্যাতন, গুপ্তহত্যা ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি। আওয়ামী লীগ মানেই রক্তচোষা। শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির মাধ্যমে তারা লাখ লাখ মানুষের রক্ত চুষেছে। তারা সম্মানীয় ব্যক্তিদের সম্মান দেখাতে জানে না। তাই তাদের কাছে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিরাপদ নয়। তাদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই। ’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘একদলীয় শাসন তো তারা আগেই কায়েম করে রেখেছে। এখন চলছে এক ব্যক্তির শাসন। স্পিকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সচিবালয় থেকে শুরু করে সবখানে বদলি, চাকরিচ্যুতি, পদোন্নতি- সবকিছু চলছে। সব কাগজপত্র পক্ষে থাকলেও কোনো নাগরিক আদালতে ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। তাই এক ব্যক্তির শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। ’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান বিচারপতি টিএইচ খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খোন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন এমপি, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১১