ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির আলোচনায় ভাষা সৈনিক মতিন

বিএনপি-আ.লীগের মতো বুর্জোয়াদের কাছে মানুষ কিছু আশা করে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১১
বিএনপি-আ.লীগের মতো বুর্জোয়াদের কাছে মানুষ কিছু আশা করে না

ঢাকা: প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আয়োজিত ভাষা দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে আয়োজক দলসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কড়া সমালোচনা করেছেন ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন।

তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়ই বুর্জোয়া দল।

বুর্জোয়াদের কাছে মানুষ কিছু আশা করে না। ’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ভাষা সৈনিক মতিন বলেন, ‘আপনারা বড় পার্টি। আপনাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা করি। আমি আওয়ামী লীগের সঙ্গেও কাজ করেছি। সকলের সঙ্গে মেলামেশার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই উভয়েরই দোষ-গুণ আছে। তবে আপনারা (বিএনপি) ও আওয়ামী লীগ বুর্জোয়া দল। আপনাদের মন কষাকষিতে মানুষ অতিষ্ঠ ও অস্থির হয়ে গেছে। আপনারা কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছেন না। ’

তিনি বলেন, ‘বড় জটিল বড় কঠিন বাংলাদেশের রাজনীতি। সোভিয়েত ও চীনের রাজনীতির থেকে কম না। পৃথিবীতে আপনারা শান্তি দিতে পারেন নাই। মানুষ বুর্জোয়াদের পছন্দ করে না। তাই বুর্জোয়াদের কাছ মানুষ আর কিছু আশা করছে না। ’
 
বিশ্বে বুর্জোয়াদের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এতে বাংলাদেশের মতো ছোট রাষ্ট্রের জন্যও খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে। ’

দুই বুর্জোয়া পার্টি কেনো ব্যর্থ হলো এ প্রশ্ন তুলে প্রবীণ এই ভাষা সৈনিক বলেন, ‘আমরা কমিউনিস্টরা কেনো ব্যর্থ হলাম। আমরা মানুষকে ভুলে যাই। আপনারা দেশটাকে ভালো করে গড়ে তুলুন। ’

তিনি  বলেন, ‘আপনাদের কাছে মানুষ যা প্রত্যাশা করছে তা করার চেষ্টা করবেন। ’

বিএনপির সহ-সভাপতি ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহিলা দল সভাপতি নুরী আরা সাফা প্রমুখ।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই ‘৫২ এর ভাষা শহীদদের চেতনা সফল হবে। ’
 
সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে পারবে, সুন্দরভাবে দেশ চালাতে পারবে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। ’

তিনি আরো বলেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও সরকার তাদের হীনমন্যতা ও দলীয়করণের উর্দ্ধে উঠতে পারেনি। তারা পৃথিবীর কাছে মাথা হেট করে দিয়েছে। ’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দেশে এখন  আইনের শাসন নেই। আছে আওয়ামী লীগের শাসন। একুশের চেতনা আর নেই। একুশের চেতনা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। ’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার একুশের চেতনা ও গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত করেছে। অতীতে একদলীয় শাসন কায়েমের মধ্য দিয়ে তারা একুশের চেতনা ভুলুণ্ঠিত করেছিলো। ’

সরকার আগামী নির্বাচনে নীরবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল কারচুপি করতে যাচ্ছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।