ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএম কলেজে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় ৫ শিক্ষকসহ আহত ৭, ২ ছাত্র আজীবন বহিষ্কার

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১০
বিএম কলেজে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় ৫ শিক্ষকসহ আহত ৭, ২ ছাত্র আজীবন বহিষ্কার

বরিশাল: ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় রোববার সকালে বরিশাল বিএম কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের চেয়ারম্যান ও অপর ৪ শিকসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর স্টাফ কাউন্সিলের জরুরি সভায় দুই হামলাকারীকে কলেজ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া আগের এক ঘটনায় ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আরও ৩ ছাত্রকে।

হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা  হামলাকারীদের বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
 
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগ ক্যাডার সমাজকল্যাণ বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র আল মামুন এবং একই বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মিজানকে আটক করেছে পুলিশ। আরও অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
 
কলেজ সূত্রে জানা যায়, সমাজকল্যাণ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি শিক্ষা সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য পিকনিক কমিটিও করা হয়। ছাত্রলীগ ক্যাডার আল মামুনকে কমিটিতে রাখা হয়।

ওই কমিটিতে না রাখায় একই বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছাত্রলীগ ক্যাডার মোজাম্মেল আলম রানা শনিবার সকালে আল মামুনের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিতণ্ডার এক পর্যায়ে রানাকে মারধর করেন আল মামুন। এরই জেরে রোববার সকাল ১১টায় মোজাম্মেল রানা ১৫/২০ জন সহযোগী নিয়ে লাঠিসোটাসহ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। জিরো পয়েন্টের কাছে আল মামুনকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন তারা।

আত্মরক্ষার্থে আল মামুন সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষকদের কক্ষে সহযোগী অধ্যাপক আশিষ কুমার রায়ের চেয়ারের পেছনে গিয়ে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করেন।

এ সময় তাদের হামলায় আল মামুন ছাড়াও সহযোগী অধ্যাপক আশিষ কুমার রায়, বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক বন্দে আলী মিয়া, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুস সবুর হাওলাদার, প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম, প্রভাষক ইলা রানী সাহা ও সজিব নামের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের এক ছাত্র গুরুতর আহত হন।

কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আল মামুন ও একই বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মিজানকে আটক করে।

কলেজ অধক্ষ্য প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাস বহিষ্কারের সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোমবার শিক্ষকদের কালোব্যাজ ধারণের  সিদ্ধান্ত হয়েছে। ’
 
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ চন্দ্র হাওলাদার জানান, ‘হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাস থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে  এজাহার রুজু করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে। ’  

এদিকে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাতেমা মমতাজ মলি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়। তারা বখাটে। ‘

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।