ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

পুনর্মুদ্রিত সংবিধানের কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: মওদুদ

স্টাফ করেসপন্টে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১১
পুনর্মুদ্রিত সংবিধানের কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: মওদুদ

ঢাকা: পুনর্মুদ্রিত সংবিধানের কোনও কার্যকারিতা ও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

জাতীয় প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার বিকেলে ‘আড়িয়ল বিলের সাম্প্রতিক ঘটনা: ৭ ফেব্রুয়ারির হরতালে সরকারের নিপীড়ন, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী আচরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।



কাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।

মওদুদ আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদে বসে দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের সম্মতি নিতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের একটি রায়ের ভিত্তিতে সংবিধানের যে পুনর্মুদ্রণ হয়েছে তা কোনও অবস্থাতে গ্রহণযোগ্য হবে না।

সর্বদলীয় গ্রহণযোগ্য বিশেষ কমিটি গঠন করে সংবিধান সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে কোনও রাজনৈতিক বিতর্কিত বিষয় সংযোজন করা উচিত নয়। এতে করে ভবিষ্যতের সরকার এসে এটি পরিবর্তন করে ফেলবে। ’

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সংবিধান পুনর্মুদ্রণ করে সংসদের সার্বভৌম ক্ষুণœ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় যদি আইন হয়ে যায় তাহলে ১৬৭ ধারায় রিমান্ড সম্পর্কিত যে রায়টি রয়েছে সেটি কেন সংবিধানে সংযোজন করা হলো না? কেন এটি কার্যকর হচ্ছে না। ’

আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, পুনর্মুদ্রিত সংবিধান যদি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংসদেই নিতে হয়, তাহলে পুনর্মুদ্রণ করে রাষ্ট্রের এত টাকা অপচয় করা হলো কেন?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেয়ার বাজারে শুধু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি নয়, এখানে সবাই টাকা বিনিয়োগ করে। বারবার দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা আড়িয়ল বিলের মতো ঘটনা ঘটালে সরকার আবারও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা ঠুকে দেবে।

সরকার সমর্থিত এক ব্যবসায়ীর প্রতি ইঙ্গিত করে গয়েশ্বর বলেন, ‘নিজের কোম্পানির কর্মচারীদের যিনি বেতন দিতে পারতেন না তিনি হঠাৎ করে অগণিত প্রতিষ্ঠানের অংশিদারিত্ব পেলেন কীভাবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের মূল ব্যক্তিরা জড়িত না থাকলে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি করে কেউ টিকে থাকতে পারতো না। ’

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ইস্যুতে বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘বিশ্বকাপ খেলা শেষ হোক, তারপর আমরা আসল খেলা শুরু করব। ’

বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমরা যখনই সংসদে যাওয়ার কথা বলি, তখনই সরকার বিরোধী দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়। এক দলীয় বাকশাল কায়েম করতেই বিরোধী দলকে সংসদে যেতে দিতে চায় না তারা।

জিয়া পরিষদের সভাপতি কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসাইন মিয়া, অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, ড. শফিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহিল মাসুদ, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচলনা করেন জিয়া পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।