ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

নির্বাচন অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে: খালেদা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১
নির্বাচন অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে: খালেদা

ঢাকা: আগামী নির্বাচন অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। এ ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

তবে তা অবশ্যই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নয় বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি।

বিএনপি প্রধান বলেছেন, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায়। ’

খালেদা জিয়া সোমবার রাতে তার গুলশান কার্যালয়ে এক যোগ দান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবাহী অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়, তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এজন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। ’  

জনগণ ও দেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আর ধুকে ধুকে শেষ না হয়ে আসুন ব্যর্থ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করি। ’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়। এরা স্বৈরাচারী সরকারের চেয়েও খারাপ। এরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। এদের হাতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা-কোনোটাই নিরাপদ নয়। ’

তিনি বলেন, ‘এর আগেও আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন দেশে দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়েছিলো। এখনও দুর্ভিক্ষ উপহার দিতে চাচ্ছে। ’

তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। স্বৈরাচারের চেয়েও খারাপ এই সরকার পদে পদে মানুষের অধিকার হরণ করছে। তারা এখন নির্যাতন জুলুম আর লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। তাই দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার রক্ষা করতে বিএনপিকেই দায়িত্ব নিতে হবে। ’

তিনি বলেন, ক্ষমতার জন্য নয়, দেশ রক্ষার জন্য এই অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে।

তিনি বলেন, এখন ফেব্রুয়ারি মাস। এ মাসেই পিলখানায় ৫৭ চৌকস সেনা কর্মকতাকে হত্যা করা হয়েছিলো। ’

তিনি বলেন, ‘বিডিয়ার যখন ছিলো-তখন সীমান্ত খুব শক্তিশালী ছিলো। এখন সারা দেশের সীমান্ত অরক্ষিত। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চলছে। নতজানু সরকার কোনো প্রতিবাদও করতে পারছে না। ’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘এ সরকার বিদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়, দাসখত দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের জোটের একজন সংসদে বলেছেন-কৃতদাসের সংসদ। আমি বলছি এই সরকার কৃতদাসের সরকার। ’

এ সময় বিএনপিতে যোগ দেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ।  

তার সঙ্গে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতাকর্মীও বিএনপিতে যোগদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, শফি আহমেদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. রফিক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হক, মহানগর সহসভাপতি বদরুজ্জামান সেলিম, সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) এম ইলিয়াস আলী। সভা পরিচালনা করেন সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ।

খোন্দকার দেলোয়ার বলেন, ‘শুধু দলে যোগ দিলেই হবে না। এখন যারা আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেবে তারাই আগামী দিনে দলের নেতৃত্ব দেবে। ’

প্রসঙ্গত, কর্নেল (অব.) আলী আহম্মেদ ২০০১ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির ব্যানারে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।