ঢাকা: প্রথম সারির নেতারা গ্রেপ্তার এবং দ্বিতীয় সারির নেতারা অনুপস্থিত থাকায় তৃতীয় সারির নেতাদের নেতৃত্বে চলছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ।
তবে এ অবস্থায় গঠণতন্ত্র মেনেই নেতৃত্ব সঙ্কট পূরণ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির একাধিক নেতা।
দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। তবে তিনিও কার্যত অনুপস্থিত। দলের কার্যক্রম চালাচ্ছেন মহানগর কমিটির ও কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় সারির নেতারাই।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রয়োজনের সময় একজন রোকনকেও ভোটের মাধ্যমে আমির নিযুক্ত করা যাবে। এখন যা হচ্ছে তা দলের গঠণতন্ত্র মেনেই হচ্ছে। ’
গত ২৯ জুন জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এবং নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী গ্রেপ্তার হন।
দলের অন্য দু’ প্রভাবশালী নেতা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাও গ্রেপ্তার হন ১৩ জুলাই।
৩০ জুন দলের নায়েবে আমীর মকবুল আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত আমীর এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দায়িত্ব পাওয়ার পর এ দু’ নেতা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস বিফিং আর সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখছেন। কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া ছাড়া কর্মসূচি সফল করতে তাদের সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।
সীমিত পরিসরে আন্দোলনের চেষ্টা করে যাচ্ছে দলের তৃতীয় সারির নেতারা।
বিশেষ করে কামারুজ্জামান এবং আব্দুল কাদের মোল্লা গ্রেপ্তার হওয়ার পর দলটি পুরোপুরি তৃতীয় সারির নেতাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা এবং তা সফল করার ক্ষেত্রেও এসব নেতারাই কাজ করছেন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমীর, নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বিভিন্ন পর্যায়ের শূরার সদস্য-এভাবেই দলের প্রটোকল নির্ধারিত রয়েছে।
দলটির আমীর মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের অবর্তমানে পাঁচ জন নায়েবে আমির ও পাঁচ জন সহকারী সেকেটারি জেনারেলের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব আসার কথা বলে দলীয় সূত্র জানায়।
কিন্তু এ দশজনের মধ্যে সাত জন বাইরে থাকলেও গ্রেপ্তার আতঙ্কে দলের দুঃসময়ে খুব একটা ভূমিকা রাখছেন না তারা।
তবে দলটির প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনিম আলম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘সরকার জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করতে চায়। তা কিছুতেই সম্ভব নয়। দলের সব পর্যায়ের নেতাদেরই নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা আছে। দলের একজন রুকনও আমীর নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১০