ঢাকা: আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার সম্মানে নয়, জনতার প্রতিরোধের মুখেই বিমানবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলোর নেতাদের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু ওই এলাকার (আড়িয়ল বিল) জনগণ চাইছে না, তাই সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করবে না। তাছাড়া বিরোধী দলীয় নেত্রীও চাইছেন না। তার দাবির প্রতি তো সম্মান দেখাতেই হবে। আমরা তার দাবি মেনে নিলাম। ’
ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেত্রীর দাবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী যদি সম্মান দেখাতেন তাহলে সব দাবিই মেনে নিতেন। কারণ, সোমবারের হরতাল কেবল আড়িয়ল বিলে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ বন্ধের জন্যই নয়। বিএনপির দাবি হচ্ছে আড়িয়ল বিলের বিক্ষোভের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার, নতুন বিমানবন্দর নির্মাণ না করা, পুঁজিবাজারের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি, দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। ’
সোমবারের দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি সফল করার আহবানও জানান বিএনপি মহাসচিব। হরতাল সফল করতে জেলা নেতাদের সাধারণ মানুষের হাতে হাতে হরতালের দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণেরও নিদের্শ দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল মান্নান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, অর্থনৈতিক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ সভায় ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জের জেলা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১১