ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আর কোনো আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করা হবে- খালেদা জিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১০

ঢাকা: বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর আর কোনো আঘাত এলে পাল্টা আঘাত করা হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। দলের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার, মিথ্যা মামলা ও গেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।



আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণঅবস্থান কমসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন আরও বলেন, ১৭  জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হলে সেদিনই গণআন্দোলন শুরু করা হবে।

নির্বাচন কমিশন গত সাধারণ নির্বাচন থেকেই পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সরকারের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ এবং অযোগ্য ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ এনে তার প্রতিবাদে এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা এবং জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে আজ এই গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

গত ১৯ মে পল্টনের মহাসমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া এ অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সকাল ১০টায় কর্মসূচির শুরুতেই সম্প্রতি রাজধানীর নিমতলীতে আগুন ও বেগুনবাড়িতে ভবন ধসে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

খালেদা জিয়া প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমরা সংসদের বাইরে বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছি এটা যদি অসাংবিধানিক হয় তাহলে ১৯৯১ সালে নির্বচনে হেরে গিয়ে আওয়ামী লীগ সংসদের সাউথ প্লাজায় সংসদ বসিয়ে ছিলেন সেটা কি সাংবিধানিক ছিল?

এসময় মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ সরকারকে একটি ‘লেবাসধারী সরকার’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা ছাড়াও চারদলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।

জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামী বলেন, ‘সরকার দেশে আবার বাকশালি শাসন কায়েম করতে চাইছে। ’

এছাড়াও বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্ট বার আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আব্দুস শহীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. কেএম ওবাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী এবং সংস্কৃতি-ব্যক্তিত্ব চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময় ১৮০৬ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১০
এমএম/এমএমকে/জেএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।