ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

উপনির্বাচন: ২ ওসি ১ এএসপি প্রত্যাহার ও ৬৪ কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১১
উপনির্বাচন: ২ ওসি ১ এএসপি প্রত্যাহার ও ৬৪ কেন্দ্রে সেনা চায় বিএনপি

ঢাকা: জাতীয় সংসদের হবিগঞ্জ-১ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৩ আসনের উপনির্বাচনে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৬৪ কেন্দ্রে সেনা মোতায়েনের দাবি তুলেছে বিএনপি। একই সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদরের এএসপি (সার্কেল) সঞ্জয় সরকার, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার ওসি আকতার হোসেন সরকারকে প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছে।



সোমবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদের ওই দুটি আসনের উপনির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর পে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছেন। ’

তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার বিজয় নগর থানার ওসি দুলাল মাহমুদ এবং সদরের এএসপি সার্কেল সঞ্জয় সরকার প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছেন। নৌকা মার্কার পে নির্বাচনী আচরণবিধি বহির্ভূত প্রচারণা চালাতে সহযোগিতা করছেন। ’

তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের সহায়তা কামনা করেন এমকে আনোয়ার।

তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়ীয়া-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরীর স্ত্রী একজন উর্দ্ধতন সরকারি কমকর্তা (ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান) হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে স্কুল কলেজের শিকদের প্রভাবিত করছেন। অথচ কোনো সরকারি কর্মকর্তার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘণ। ’  

তিনি বলেন, ‘হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার ওসি আকতার হোসেন এর মদদে পুলিশ ধানের শীষের প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলছে এবং নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়ে বলছে-ধানের শীষে ভোট দিয়ে লাভ হবে না। যে জেতার সে  ইতিমধ্যেই জিতে গেছে। ’

তিনি বলেন, ‘নৌকা মার্কার প্রার্থীর নেতা-কর্মীরা আচরণ বিধি ভঙ্গ করে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করে মিছিল মিটিং ও মোটরসাইকেল মহড়া চালাচ্ছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে বার বার অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। এ অবস্থায় ওই আসনে ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া ওসি আকতার হোসেন, দুলাল মাহমুদ ও এএসপি সঞ্জয় সরকারের প্রত্যাহার দাবি করছি। ’
 
এমকে আনোয়ার বলেন, ‘গত ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নোয়াখালী জেলার পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তাণ্ডব দেশবাসী দেখলেও নির্বাচন কমিশন দেখতে পায়নি। ’

ওই নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নোয়াখালী জেলার স্থগিত কেন্দ্রগুলোতে আগামী ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। সেখানে বর্তমানে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীকে পর্যন্ত এলাকায় থাকতে দিচ্ছে না। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাড়ি ছাড়া হয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। পুলিশ বাহিনী আওয়ামী লীগের কর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে।
 
এমকে আনোয়ার বলেন, ‘সিলেটে কয়েকটি পৌরসভায় পুনরায় নির্বাচন হবে। সেখানে আমাদের দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী দলীয় প্রার্থীর পে কাজ করায় তার ঢাকার বাসায় সাদা পোষাকধারী পুলিশ গিয়ে তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ’

তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে অবিলম্বে এ বিষয়ে পদপে নেওয়ার দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।