ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মন্ত্রীসহ চার নেতাকে শোকজের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন মহিউদ্দিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১১
মন্ত্রীসহ চার নেতাকে শোকজের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন মহিউদ্দিন

চট্টগ্রাম : দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিন, সাংসদ নূরুল ইসলাম বিএসসিসহ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের চার শীর্ষ নেতাকে শোকজ নোটিশ ইস্যু করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন নগর কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

রোববার রাতে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মহিউদ্দিন বিষয়টি জানিয়েছেন।



নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সভা চলে।

একই সভায় চার নেতাকে শোকজ করার বিষয়টি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করেন নগর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি রাতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম বিএসসি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আফছারুল আমিন ও অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল এবং অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকে শোকজ নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নোটিশে তাদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে জবাব দিতে সময় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দলের উচ্চ পর্যায়ে জানাতে শনিবার ঢাকায় যান মহিউদ্দিন।

রোববারের বর্ধিত সভায় উপস্থিত থাকা নগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘চার নেতার দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপ এবং এর পরিপ্রেেিত শোকজ নোটিশ ইস্যু করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উপদেষ্টা এইচটি ইমামকে জানিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। বর্ধিত সভায় তিনি নিজেই এ বিষয়টি জানান। তবে বিষয়টি সম্পর্কে  সভায় বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি বলে তিনি জানান।

এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজের প থেকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, ‘চার নেতাকে শোকজ করার বিষয়টি থানা ও ওয়ার্ড কমিটির নেতারা অনুমোদন করেছেন। ’

এছাড়া সভায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বিরোধী দলের নৈরাজ্য প্রতিরোধে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে শোকজ নোটিশ ইস্যুর সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাংসদ নূরুল ইসলাম বিএসসি বাংলানিউজকে বলেন, ‘নোটিশ দিলে তখন দেখা যাবে। জবাব দেওয়ার মতো হলে নিশ্চয় দেব। ’

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মহিউদ্দিনবিরোধী নেতারা আগামী শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পাল্টা বর্ধিত সভা ডেকেছেন বলে সাংসদ জানান।

বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে কয়েক ধারায় বিভক্ত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বর্তমানে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। দু’ভাগের মধ্যে একভাগে মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং অপর ভাগে ডা. আফছারুল আমিন নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

মহিউদ্দিনের অনুসারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু, বন্দর আসনের সাংসদ এমএ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা আজম নাছিরউদ্দিনসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।

অন্যদিকে আফছারুল আমিনের পে রয়েছেন- সাংসদ নূরুল ইসলাম বিএসসি, অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সিডিএ চেয়ারম্যান ও আবদুচ ছালাম।

বাংলাদেশ সময় : ২১২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।