ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

দুই দৈনিকের বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো চাইলেন মওদুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১১
দুই দৈনিকের বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো চাইলেন মওদুদ

ঢাকা: লে. কর্নেল তাহেরের গোপন বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানিতে নিজের বক্তব্য ও নিজের লেখা বই জমা দেওয়া প্রসঙ্গে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ অসত্য বলে দাবি করেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

ওই দুই দৈনিককে আদালত অবমাননার জন্য স্বেচ্ছা প্রণোদিত আদেশ (সুয়ো মোটো) দেওয়ার জন্যও মৌখিক আবেদন জানিয়েছেন তিনি।



রোববার অন্য এক মামলার শুনানিতে এসে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো জাকির হোসেনের বেঞ্চে তিনি এ মৌখিক আবেদন জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি তাহেরের মামলার সাথে কোনোভাবে জড়িত নই। আমি ওইদিন (বৃহস্পতিবার) অপর এক মামলায় আদালতে এসেছিলাম। তখন অন্য একটি মামলার শুনানি চলছিলো। এক পর্যায়ে আদালত আমাকে জিজ্ঞাসা করে বইটি আমার কিনা? আমি বলেছি-হ্যাঁ। এটিসহ আমার ১০টি বই আছে। তখন আদালত নিজে বইটি পড়ে শুনিয়েছেন। আমি পড়িনি। তখন আমি বলেছি-বইটি বিচ্ছিন্নভাবে না পড়ে পুরোপুরি পড়া দরকার। ’

মওদুদ বলেন, ‘এই মামলায় আমি স্বেচ্ছায় কোনো বক্তব্য দেইনি। কিন্তু দুটি সংবাদপত্র বলেছে- আমি স্বেচ্ছায় বক্তব্য দিয়েছি এবং আমার লেখা বই জমা দিয়েছি। ’

মওদুদ আদালতকে জিজ্ঞাসা করেন, এটা কি সত্য? তখন কি কর্নেল তাহেরের শুনানি চলছিলো? আমি কি এ মামলার কার্যধারার অংশ?’

তখন আদালত বলেন, ‘হ্যাঁ আপনি কার্যধারার অংশ। মওদুদ আহমেদ বলেন, কিভাবে? আমাকে তো কোন নোটিশ দেওয়া হয়নি। তখন আদালত বলেন, আদালত তো আপনাকে ডাকতে পারে। তখন মওদুদ বলেন, সেক্ষেত্রেও আমাকে নোটিশ দেওয়া উচিৎ ছিলো। এইভাবে আমার অজান্তে একটি মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা ‘আনফেয়ার’। ’

মওদুদ বলেন, ‘আমি একটি রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত। সংবাদপত্রে আমাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ’

তখন  আদালত বলেন, ‘আপনি তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করুন। ’

তখন মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমি এনিয়ে তিক্ততা বাড়াতে চাই না। যেহেতু ভুল হয়েছে তার সংশোধন হোক। ’

তখন আদালত বলেন, ‘আবেদন না দিলে আদেশ দেবো কিভাবে?’

তখন মওদুদ বলেন, ‘আদালততো বিভিন্ন সময় ‘সুয়ো মোটো’ দেয়। এখানেও তো দিতে পারেন। তখন আদালত আবার তাকে লিখিত আবেদনের কথা বললে তিনি বলেন ভেবে দেখবো। ’

তাহেরের বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এদেশে অনেক কিছুই বিচার বহির্ভূত হয়েছে। তাহেরের বিচার তবু একটি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হয়েছে। কিন্তু সিরাজ সিকদারকে বিচার ছাড়াই হত্যা করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে আমাকে আটক করে যে গৃহে রাখা হয় তার উপরের কক্ষেই ছিলেন সিরাজ শিকদার। আমি রাতে তার চিৎকার শুনেছি। সকালে জেনেছি তিনি মারা গেছেন। ’

তিনি বলেন, ‘আদালত তাহেরের হত্যার বিচার বৈধ বা অবৈধ ঘোষণা করতে পারে তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমাকে যেন মিসকোটেড না করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad