সিলেট: আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে নির্বাচনের কেন্দ্র দখলের আশঙ্কায় সিলেট বিভাগের পৌরসভা নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
রোববার সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও পৌর নির্বাচনে সিলেট অঞ্চলে বিএনপির সমন্বয়ক এম ইলিয়াস আলী এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা সিলেটে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থীরা একাধিক অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দিলেও সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ’
তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সিলেটের বিভিন্ন পৌর নির্বাচনে ফলাফল পাল্টে দেবে। ইতিমধ্যে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ’
ইলিয়াস আলী অভিযোগ করেন, সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও জেলার সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার হোসেন শামীম দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে শনিবার নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে মিছিল করেছেন। কানাইঘাটে সংবর্ধনার নামে মিসবাহ ও শামীম রাস্তা বন্ধ করে জনসভা করে প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন বিএনপি নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি করছে। মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাইফুর রহমান বাবুল, নাহিদ হোসেন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করেছেন। তারা টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। ’
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কায় হবিগঞ্জ সদর, মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, সিলেটের জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এবং সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান ইলিয়াস আলী।
হবিগঞ্জে নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নিতে বিএনপি নেতাদের গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন মিলন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল গফ্ফার, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ূম জালালী পংকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১১