ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

রাজশাহী-রংপুরে সেনা-বিজিবি টহল শুরু, খুলনা-বরিশালে মঙ্গলবার থেকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১

ঢাকা: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পৌর নির্বাচনী এলাকায় সোমবার টহলে নেমেছে সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। মঙ্গলবার থেকে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের পৌরসভাগুলোতে সেনা-বিজিবি মোতায়েন করা হবে।



রাজশাহী বিভাগের ৫ জেলার ১৪টি পৌরসভায় সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সেনা মোতায়েন হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- নাটোর, নলডাঙ্গা, সিংড়া, গুরুদাসপুর, গোপালপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ, কাজীপুর, শাহজাদপুর, বগুড়া, শেরপুর, পাবনা, সুজানগর ও ঈশ্বরদী।

এসব পৌরসভায় আগামী ১২ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।

এদিকে আগামী ১৩ জানুয়ারি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ৪৯ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সেনা মোতায়েন থাকবে ১৭টি পৌরসভায়। এগুলো হচ্ছে-মিরপুর, খোকসা, মেহেরপুর, গাংনী, আলমডাঙ্গা, যশোর, কেশবপুর, নোয়াপাড়া, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, মোড়েলগঞ্জ  (নৌবাহিনী), ভোলা, লালমোহন  (সেনা ও কোস্টগার্ড), পটুয়াখালী, কলাপাড়া, মুলাদী (কোস্টগার্ড) ও পাথর ঘাটা (কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী)।

নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন রোববার সেনা ও বিজিবি মোতায়েন সম্পর্কে বলেন, ‘নির্বাচনী পৌরসভাগুলোর প্রতিটিতে সেনা ও বিজিবি’র এক প্লাটুন করে সদস্য নিয়োজিত থাকবে। বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তাদের টহল দেওয়ার সময় নেতৃত্বে থাকবেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ’

নির্বাচনী আচরণ বিধি ও নির্বাচন বিধি লঙ্ঘণের অপরাধ বিচারের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাগুলোয় একজন করে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব আব্দুল বাতেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনের একদিন আগে সকাল ৬টা থেকে নির্বাচনের পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত মোট চারদিন করে সেনা মোতায়েন থাকবে। এ সময় রাজশাহী, দিনাজপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১ পৌরসভায় বিডিআরও দায়িত্ব পালন করবে। ’

তিনি আরো জানান, রংপুর বিভাগের কোনো পৌরসভায় সেনা সদস্য নিয়োগ না থাকলেও ১২ পৌরসভায় মোতায়েন থাকবে বিজিবি।

আগামী ১২, ১৩, ১৭, ১৮ ও ২৭ জানুয়ারি দেশের আড়াই শতাধিক পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রচারণা শেষ হচ্ছে: যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অধীন পৌরসভাগুলোয় সোমবার রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা।

ইসি কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বাংলানিউজকে জানান, ‘নির্বাচন বিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত প্রচারণা বন্ধ রাখতে হবে।

এছাড়া ১০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে (মঙ্গলবার) ১৪ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।

১১ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত থেকে (রাত ১২টা) ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত (রাত ১২টা) নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, বেবি ট্যাক্সি/অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, জিপ, কার, পিকআপ, বাস, ট্রেম্পো, লঞ্চ, ইঞ্জিন বোট ও স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

নির্বাচন উপলক্ষে দেশের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই)/সার্জেন্ট/এএসআই/হাবিলদারের নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে।

সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী পাঁচজন পুলিশসহ ১৯ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী ছয়জন পুলিশসহ ২০ জন নিয়োজিত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।