ঝিনাইদহ: দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক আব্দুল খালেক ও শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আজমকে শনিবার দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই কারণে ঝিনাইদহ পৌর যুবলীগের দুই নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাসুদ আহম্মেদকেও যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
একসঙ্গে সরকারি দলের ৪ নেতা বহিষ্কারের খবরে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার বাইরের ক্যাম্পগুলো থেকে অতিরিক্ত পুলিশ শহরে আনা হয়।
ঝিনাইদহের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফয়সাল আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জেলা নেতাদের বাসভবন ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে। ’
শনিবার দলের জেলা সভাপতি ও শৈলকুপার সাংসদ আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান সারিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে বহিষ্কারের খবরটি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘দল সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক ও শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আজমকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হ’ল। ’
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আব্দুল খালেক ও আজমকে চুড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদর পৌরসভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টু ও শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে তৈয়বুর রহমানকে দলীয়ভাবে সমর্থন জানানো হয়। দল সমর্থিত দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নামেন আব্দুল খালেক ও আশরাফুল আজম।
এদিকে ঝিনাইদহ পৌর যুবলীগের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ও মাসুদ আহম্মেদকেও যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে যুবলীগের ৩ কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১১