ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সরিষাবাড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: পুলিশ ও মেয়র প্রার্থীসহ আহত ১০

শফিক জামান, জামালপুর প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১১

জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এক পুলিশ কনস্টেবল ও এক মেয়রপ্রার্থীসহ অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় উপজেলা আওয়ামী  লীগ অফিসে হামলা, ভাংচুর ও বিএনপি সমর্থকদের ৩টি দোকান ভাংচুর করা হয়েছে।



স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টার দিকে আরামনগর বাজার এলাকায় সেলিম নামে এক যুবদল কর্মীকে মারধর করে আ.লীগ কর্মীরা। এই ঘটনার পর দুপুর ১২টার দিকে শতাধিক বিএনপি কর্মী লাঠি, রামদা, কিরিচ নিয়ে উপজেলা আ.লীগ অফিসে হামলা ও চেয়ার-টেবিল,আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় উপজেলা আ.লীগ কার্যালয়ে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলীয় সভা চলছিল।

হামলায় আ.লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী নূর-ই-আলম বাবু,একজন পুলিশ কনস্টেবল ছাড়াও অন্তত: ১০ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে নূর-ই-আলম বাবু, পুলিশ কনস্টেবল  দেলোয়ার, আ.লীগ কর্মী সেলিম রেজা, আশরাফ ও সোহেলকে সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে আ.লীগ অফিসে হামলার ঘটনার পর পর বিক্ষুব্ধ আ.লীগ কর্মীরা পাল্টা হামলা চালালে আরামনগর এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে কযেক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় বিএনপি সমর্থকদের ৩টি দোকান, দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও উজ্জল নামে এক বিএনপি কর্মী আহত হয়।

উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন বাদশা অভিযোগ করেন, বিনা উস্কানিতে বিএনপি সন্ত্রাসীরা আ.লীগ অফিসে হামলা করেছে। তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জনান।

সরিষাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার উল ইসলাম হামলা ,সংঘর্ষ ও ভাংচুরের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এখনো এব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad