ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

দেশে কোনও সরকার নেই : খালেদা জিয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০
দেশে কোনও সরকার নেই : খালেদা জিয়া

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে কোনও সরকার নেই। কার নির্দেশে দেশ চলছে তা সবাই জানে।



মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ কার্যালয়ে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি সরকারকে নতুন বছরে নির্যাতনের পথ পরিহার করে সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘এ সরকারের সামনে দু’টি পথ খোলা আছে। হয় সরকার তার নির্যাতনের পথ থেকে ফিরে আসবে, না হয় জনগণই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ’
 
সংসদে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সংসদে যেতে চাই। কিন্তু আমরা কথা বলতে চাইলে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সরকারই চায় না যে বিরোধী দল সংসদে গিয়ে জনগণের পক্ষে কথা বলুক। ’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য নোটিস দিয়েছি কিন্তু সকল নোটিস বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ’
 
এ সময় তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। অথচ আমাদের কোথাও কথা বলতে দেয় না। আমরা পল্টন ময়দান, প্রেসকাব, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটসহ যেখানেই সমাবেশ করতে চাই সেখানেই বাধা দেওয়া হয়। ’
 
বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, এ সরকার আসার পর আমরা আশা করেছিলাম দু’বছরে (গত তত্ত্বাবধায়ক আমল) দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার জন্য সকলে মিলে কাজ করবো। কিন্তু তারা তা না করে ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের মতো দেশ চালাচ্ছে। তারা আগের মতোই মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন চালাচ্ছে।

 দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, এখানে অনেক সাংবাদিক আছেন, যারা সত্য কথা লিখতে চান। কিন্তু তা প্রচার করতে পারেন না। দেশে এখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। মানুষের কোনও স্বাধীনতা নেই। মানুষ অশান্তিতে আছে। ’

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দ্রব্য মূল্য যেভাবে বেড়েছে তাতে দু’বেলা ডাল ভাত খাওয়ার মতোও অবস্থা নেই। ’
 
তিনি বলেন, ‘মানুষ তার সন্তানদের লেখা পড়া করিয়ে মানুষ করতে চায়। কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে যে পরিবেশ তাতে লেখাপড়া করার সুযোগ নেই। ’
 
এ সময় তিনি আগামী বছর যেন ভালো হয় তার প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে আমরা আরও ভালো থাকতে চাই। ’

খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বড়দিনে সকলের দেশের শান্তি সমৃদ্ধি ও প্রগতি কামনা করে প্রার্থনা করা উচিত। ’

তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। আমি আমার ধর্মকে যেভাবে সম্মান করি তেমনি অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা করি।

এ সময় তিনি দেশ রক্ষার আন্দোলনে তিনি খ্রিস্টান সম্প্রদায়কেও শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।

আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন।

এছাড়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতা আর্চ বিশপ পৌলিনুস ডি কস্তা বক্তব্য রাখেন। আরও উপস্থিত ছিলেন এলবার্ট পি কস্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।