ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

নির্যাতন চালিয়ে সরকার সব কিছু দাবিয়ে রাখতে চাচ্ছে :এমকে আনোয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০
নির্যাতন চালিয়ে সরকার সব কিছু দাবিয়ে রাখতে চাচ্ছে :এমকে আনোয়ার

ঢাকা: প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে দলীয়করণের মাধ্যমে এক দলীয় শাসনে সরকার দেশ পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার।

তিনি বলেন, ‘১৯৭২-৭৫ সালের সরকারের মতো বর্তমান সরকারও তাদের কোনো অপকর্মের সমালোচনা সহ্য করছে না।

নির্যাতন চালিয়ে তারা সবকিছু দাবিয়ে রাখতে চাচ্ছে। ’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়া পল্টনে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তিন দশক উপলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শামসুজ্জামান দুদু, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম আজাদ, মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শরফত আলী সপু, ছাত্র দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-অ্যাব এর সদস্য সজিব হাসান জাফির তুহিন প্র্রমূখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, সাংসদ শাম্মী আখতার, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, কৃষক দলের সহ-সভাপতি এমএ তাহের, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, সহ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন মো. জসিম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে সংকটজনক উল্লেখ করে এমকে আনোয়ার বলেন, ‘দেশে কোনো দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নেই। ভারতীয় ব্যাংকের দেওয়া ঋণের প্রকল্প অনুমোদন করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিয়ে দেশ অকার্যকর করা হয়েছে। এভাবে আরেক দেশের করদরাষ্ট্রে পরিণত করার অধিকার জনগণ তাদের দেয়নি। ’
 
উচ্চতর আদালতে জামিন আদেশ সরকারের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থগিত করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলতে হবে। প্রধান বিচারপতি নিজেই বলেছেন, কেউই বিচারের উর্ধ্বে নয়। তাহলে আপনার অথবা হাইকোর্টের জামিন আদেশ কীভাবে অ্যাটর্নি জেনারেল আটকিয়ে রাখেন, তা জানতে চাই। ’

সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী বহুদল ও গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তারা এক দল বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগে থাকলে রাজকারও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়। ’
তিনি বলেন, ‘রাজনেতিক বিবেচনার নামে সরকার ৬ হাজার ৭ শ’ মামলা প্রত্যাহার করেছে। এভাবে মামলা প্রত্যাহার করে সরকার বিচার বিভাগের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করেছে। এসব মামলায় দেড় লাখ দাগী আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মুক্তির ফলে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি, খুন, ধর্ষণ বেড়েছে। ’

রাষ্ট্রপতির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নাটোরের ২০ ফাঁসির আসামিকে মা করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ওই আসামিরা মুক্তি পেয়ে নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবুকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। ’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, টিআইবি প্রতিবেদনে দেশে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে প্রকাশ হওয়ার পরও তাদের ওপরও সরকারের মন্ত্রীরা বিষোদগার করছেন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের মতো গর্বিত ব্যক্তিকেও তারা প্রশ্নের মুখে ফেলে বির্তকিত করছেন। আওয়ামী এমন একটি দল যারা নিজেদের ছাড়া কাউকে চেনে না।

বাংলাদেশ সময় : ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।