ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে আ. লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো, এ বছরই নতুন কমিটি

শামীম খান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১০
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে আ. লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো, এ বছরই নতুন কমিটি

ঢাকা: দীর্ঘ দিন ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে মতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। বার বার উদ্যোগ নিয়েও এইসব সংগঠন জাতীয় সম্মেলন করতে পারছে না।

তবে চলতি বছরের মধ্যেই এ সম্মেলন শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছাসেবক লীগকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্মেলন করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৩ জুলাই গণভবনে অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভার উদ্বোধনের সময় তিনি এ নির্দেশ দেন। অন্য সংগঠনগুলোকেও দ্রুত নির্দেশ পাঠানো হবে বলে সুত্র জানিয়েছে।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন সাতটি। এগুলো হলো, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগ ও আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ।

এর বাইরে রয়েছে ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ি এ তিনটি সংগঠন এখন আর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন নয়।

তবে এসব সংগঠনের গঠণতন্ত্র অনুযায়ি তিন বছর পর পর সম্মেলনের কথা থাকলেও বছরের পর পর ধরে সম্মেলন হচ্ছে না।

এসব অধিকাংশ সংগঠনের নেতারাই বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, অনুকুল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।  

এর মধ্যে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ৭ বছর আগে। ২০০০ সালের ১১ মার্চ এ কমিটি গঠন হয়। এছাড়া যুবলীগের কাউন্সিল হয় ২০০৩ সালের ২৫ জানুয়ারি, এ বছরই ১২ জুলাই গঠিত হয় মহিলা আওয়ামী লীগ, ২৭ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ২৯ জুলাই কৃষক লীগের কমিটি।   পরে বছর ২০০৪ সালের ১৫ মার্চ যুব মহিলা লীগ, জুনে জাতীয় শ্রমিক লীগ, ৮ আগস্ট তাঁতী লীগ, ৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এবং ২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল ছাত্রলীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছর ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েও তা করতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতারা বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরডট.কম.বিডিকে বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারসহ যে কোনো রাজনৈতিক প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকবেলায় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনগুলোকেও মাঠের রাজনীতির জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সম্মেলন সম্পন্ন করার কথা জানিয়ে দেওয়া হবে।

আগামী ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলেও জানান তারা।  

এ প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ি আগামী সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ সম্মেলন শেষ করতে পারবো।

যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘সম্মেলনের নির্দেশ নেত্রী (শেখ হাসিনা) আগেই দিয়েছেন। নভেম্বর-ডিসেম্বরে সম্মেলনের প্রস্তুতি আছে, তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ও পরিবেশের উপর সব কিছু নির্ভর করছে। ’

যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল বলেন, ‘সম্মেলনের প্রস্তুতি আছে। নির্দেশ পেলেই সম্মেলন করা হবে। ’
 
আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, ‘সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন দ্রুতই করার চিন্তা-ভাবনা আছে। ১৬ জুলাই দলের কার্যনির্বাহি সংসদের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ’

বাংলাদেশ সময় ০৯৫৮ ঘন্টা, জুলাই ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।