ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

হরতাল স্থগিত উলামা মাশায়েখদের: বেকায়দায় বিএনপি-জামায়াত

মান্নান মারুফ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০
হরতাল স্থগিত উলামা মাশায়েখদের: বেকায়দায় বিএনপি-জামায়াত

ঢাকা: উলামা মাশায়েখ পরিষদ হরতাল স্থগিত করায় বেকায়দায় পড়েছে বিএনপি-জামায়াত।

উভয় দলই ওলামা-মাশায়েখদের ডাকা ২৬ ডিসেম্বরের হরতালে সমর্থন জানিয়েছিলো।

কিন্তু হরতালের মাত্র আগের দিন শনিবার পরিষদ নেতারা সংবাদ সম্মেলন ডেকে তা বাতিল করেছেন। তার আগের দিন শুক্রবার  প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সঙ্গে আলোচনাতেই পরিষদ নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

এ পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েছে চার দলীয় জোট নেতা বিএনপি ও তাদের প্রধান শরিক জামায়াত। একদিকে এ দুই দলের যেসব নেতা হরতালের পক্ষে কথা বলছিলেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না, অন্যদিকে যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের মুখে শোনা যাচ্ছে হরতাল বিরোধী কথাবার্তা।  

উলামা মাশায়েখ পরিষদ গত ৮ ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করে হরতালে সর্মথন চায়। এরপর ১০ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে হরতালে সমর্থন জানান।

২৪ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে ২৬ ডিসেম্বরের হরতালে সমর্থন জানান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম।

এখন তাদের কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।   বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মোবাইলে ফোন করা হলে কেউ একজন তার  পক্ষে বলেন, তার শরীর ভাল নয়। রেস্টে আছেন। এখন কথা বলতে পারবেন না।

আর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফোন কেউ রিসিভই করছেন না।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘হরতালে সর্মথন দেওয়ার বিষয়টি আমি জানতাম না। আমার মনে হয়- যেহেতু হরতালে বিএনপি মহাসচিব সমর্থন দিয়েছিলেন, অবশ্যই তার সঙ্গে আলোচনা করে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’

তবে হরতাল স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি-হরতাল স্থগিত করে তারা ভালো কাজ করেছে। হরতাল কারও জন্য ভাল নয়। হরতালের কারণে মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা তো রাজনীতি করি জনগণের জন্য। ’

খন্দকার মোশাররফের মতো সাবেক জেনারেল মাহবুবও মনে করেন হয়তো বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলেই আপাতত হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ওলামা মাশায়েখরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি একদমই  জানি না। হরতালে কে কবে সমর্থন দিয়েছে, আবার কবে কে তা প্রত্যাহার করেছে কিছুই জানি না। এরকম যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে মহাসচিবই তা ভাল বলতে পারবেন। ’
 
জামায়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনিম আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিক্ষানীতি পরিবর্তনের দাবিতে উলামা মাশায়েখদের ডাকা হরতাল জামায়াত সমর্থন করেছিল। কিন্তু পরিষদ হয়তো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভাল কোনো আশ্বাস পেয়েছে তাই হরতাল প্রত্যাহার করেছে। এটা তাদের দেওয়া হরতাল। তারা তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আর কি বলার আছে?’

বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।