ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিশেষ কমিটির প্রস্তাব প্রত্যাহার না হলে লাগাতার হরতাল: জয়নুল আবদিন

স্টাফ করেসডন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১১
বিশেষ কমিটির প্রস্তাব প্রত্যাহার না হলে লাগাতার হরতাল: জয়নুল আবদিন

ঢাকা: সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটি জাতীয় সংসদে যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা না হলে লাগাতার হরতাল কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ও ইলেকট্রনিক ভোটিং ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগের প্রতিবাদে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।



‘জিয়া ব্রিগেড’ নামে একটি সংগঠন এ মানববন্ধন কর্মসূচির অয়োজন করে।

জয়নুল আবদিন ফারুক আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন, ‘ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দিবা স্বপ্ন আপনারা দেখছেন, তা পূরণ হতে দেওয়া হবে না। ’৭২ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত এক দলীয় শাসন কায়েম করতে গিয়ে আপনারা অনেক কিছু হারিয়েছেন। এবার যে পথে হাঁটছেন, আবারও আপনাদের অনেক কিছু হারাতে হবে। এক দলীয় সংসদীয় কমিটি সংসদে সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, তা প্রত্যাহার করা না হলে ৪৮ ঘণ্টা, ৭২ ঘণ্টা, প্রয়োজন হলে লাগাতার হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হবে। ’

ফারুক বলেন, ‘খায়রুল হককে প্রধান উপদেষ্টা করে বিএনপিকে বাদ দিয়ে যদি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আপনাদের কাছ থেকে সেই নির্বাচন ছিনিয়ে এনে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। ’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাধায়ক সরকার প্রথা চালুর জন্য আপনারা ’৯৬ সালে ৯৬ দিন হরতাল করেছেন। এটাকে বহাল রাখার জন্য প্রয়োজনে আমরাও তেমন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করব। ’

সংবিধান পুনর্মুদ্রণ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার দেওয়া আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন জয়নুল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। ’

আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি নির্বাচিত সংসদ সদস্য নন। আপনি কিভাবে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত দেন। আপনার এই সিদ্ধান্ত জনগণ মানতে রাজি নয়। ’

ভারতীয় সেনা প্রধানকে ২২ জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণার্থীদের পাসিং আউট স্যালুট না নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

জিয়া ব্রিগেডের সভাপতি জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. ইউসুফ হায়দার, বিএনপি নেতা ও ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাড. সানাউল্লাহ মিয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল বারি হেলাল, রফিক শিকদার প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময় : ১২১৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।