ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ হরতাল: অবরুদ্ধ ছিলেন খসরু, মাঠে নামেননি অন্য নেতারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০
চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ হরতাল: অবরুদ্ধ ছিলেন খসরু, মাঠে নামেননি অন্য নেতারা

চট্টগ্রাম: সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিএনপি’র ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।

হরতালের বিপক্ষে আওয়ামী লীগ মিছিল-সমাবেশ করলেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোথাও পিকেটিং করতে দেখা যায়নি।



এছাড়া পুলিশের বাধায় কোনো মিছিল-সমাবেশ করতে পারেনি বিএনপি।

দুপুর পর্যন্ত নগরীতে রিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন না  চললেও বিকেল থেকে অবাধে সিএনজি অটোরিক্সা, টেম্পো ও যাত্রীবাহী রাইডার চলাচল শুরু করে।  

হরতাল চলাকালে শেষ বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় নগর বিএনপি’র সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ বিএনপি’র কোনো নেতা-কর্মীকে রাস্তায় নামতে দেয়নি। চট্টগ্রামে আজ (রোববার) বিএনপি’র সব নেতা-কর্মী অবরুদ্ধ থাকলেও জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে বিএনপির ডাকা হরতালে সাড়া দিয়েছে। এত বিএনপি’র বিজয় হয়েছে। ’

তবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সাকা চৌধুরীর জন্য ডাকা এ হরতালে নগর বিএনপি’র সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন নেতা-কর্মী ছাড়া অন্য নেতা ও তাদের অনুসারীদের দেখা যায়নি।

সকালে পুলিশের বাধায় দলীয় কার্যালয়ে যেতে না পেরে মেহেদীবাগের নিজ বাসভবনে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্যান্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় হরতাল পালন করেন নগর বিএনপি’র সভাপতি।

এ সময় তার সাথে ছিলেন- নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি দস্তগীর চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নিবার্হী কমিটির সদস্য রোজী কবির, উত্তর জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এসএম ফজলুল হক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেনসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মী।

দুপুরে তার বাসার উঠোনে সবার জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে যেতে চাইলেও পুলিশের বাধায় মিছিল নিয়ে আবার ঘরে ফিরে আসেন খসরু।

এর পর থেকে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রীর বাসা ঘিরে রাখে পুলিশ।

সন্ধ্যা পর্যন্ত সিএমপি’র কোতয়ালী জোনে’র সহকারী পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসার নেতৃত্বে পুলিশের তিনটি পিকআপ সেখানে অবস্থান করে।

এছাড়া দিনভর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ও ঘিরে রাখে পুলিশ।

এদিকে  চট্টেশ্বরী রোডের নগরীতে নিজ বাসায় অবস্থান করলেও ঘর থেকে বের হননি সাবেক বিমান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন।

হরতালে  তাকে দেখা না যাওয়া প্রসঙ্গে মীর নাসির  বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাড়ির গেইটে পুলিশ থাকায় ঘর থেকে বের হতে পারিনি। কিভাবে কর্মসূচি পালন করবো?’

তবে কোতয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জেদান অল মুসা জানিয়েছেন, আমীর খসরু ও সাকার বাসা ছাড়া নগর বিএনপি’র আর কোনো নেতার বাসার সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি।

এদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমানের অনুপস্থিতিতে তার অনুসারীদেরও রাস্তায় দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে নোমান অনুসারী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এএম নাজিমউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘নগরীর রিজেন্ট পার্ক হোটেলে জাহাজভাঙ্গা শ্রমিকদের নিয়ে  একটি সেমিনারে অংশ নেওয়ার কারণে আজকের হরতালে মাঠে থাকতে পারিনি। ’
 
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির রাজনীতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর নাসির এবং সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী এম মোরশেদ খানের গ্রুপে বিভক্ত।

এর মধ্যে নোমান ও মীর নাসির সাকার বিরোধী বলে পরিচিত।   মোরশেদ খান বর্তমানে নগর বিএনপি’র রাজনীতিতে তেমন একটা সক্রিয় নন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।