ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আরও একটি বিজয় অর্জন করতে হবে। যে বিজয় হবে অত্যাচার নির্যাতন ও নিপিড়নের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসকাবে জিসাস আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি আবুল হাশেম রানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জিসাসের সদস্য সচিব মতিউর রহমান ডিজেল, জিসাস নেত্রী রীনা খান প্রমুখ।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘একি অন্ধকার যুগ, একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য যিনি কোনো দিন নির্বাচনে পরাজিত হননি তাকে পুলিশ ধরে নির্যাতন করছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্লেড দিয়ে কাটা হয়েছে, পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তার মেয়ে চোখের পানি ফেলে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিচার চাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার রিপোর্ট দিয়েছে সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে পাখির মতো বাংলাদেশি মারছে। পৃথিবীর কোনো সীমান্তে এমন নজির নেই। ’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিলো গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রকে আমরা জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করবো। আবারও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবো। মনে রাখতে হবে, যারা দমননীতি চালায় তারা জনরোষের কাছে টিকে থাকতে পারে না। ’
বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে বেগম জিয়ার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আমান উল্লাহ আমান আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রের কথা বলছেন কিন্তু আপনারা ক্ষমতায় বসেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নামে ৪২ মামলাসহ বিএনপি নেতার্মীদের নামে শত শত মিথ্যা দিয়ে হয়রানি করছেন। ’
জয়নুল আবদিন ফারুক সরকারকে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে, সেদেশে কোথায় মানবাধিকার, কোথায় আইনের শাসন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জোয়ার দেখেছেন, খালেদা জিয়ার আন্দোলনে আপনাদের যে ভাটা শুরু হবে তা দেখেননি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১০