ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদার বাড়ির মালামালের তালিকা প্রকাশ করল আ’লীগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১০

ঢাকা: সেনানিবাসের ছেড়ে যাওয়া বাড়ি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সরিয়ে নেওয়া গৃহস্থালী সামগ্রীর তালিকা প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম লিখিতভাবে এ তালিকা তুলে ধরেন।



সেইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ বিলাস সামগ্রীর মালিক খালেদা জিয়া কী করে হলেন সেটাও জনগণকে জানানোর দাবি জানানো হয়।

তালিকাটি পড়ে শোনানোর সময় সৈয়দ আশরাফ বলেন, খালেদা ছেড়ে আসা সেনানিবাসের বাড়িটিতে মোট ৪৫ টি সুসজ্জিত কামরা, ১২ টির বেশি বাথরুম ও ৪টি রান্নাঘর ছিল।

এছাড়া ৬৪টি এসি, ২০ টি রঙিন টেলিভিশন ও এলসিডি, ১৭ টি ফ্রিজ, ৭১ টি সোফাসেট, ১০ টি গিজার, দামি থাই অ্যালুমিনিয়াম গ্লাস, ব্যয়বহুল স্লাইডিং ডোর, দুর্লভ ডিজাইনের দরজা, কমোড, বেসিন, আয়না, ওয়ালমার্ক, বুক সেল্ফ, শাওয়ার বাঙ্ক, দামি বাথটাব, দুর্লভ মার্বেল সেট, মূল্যবান পাথরখচিত ঝাড়বাতি, বাথরুম ফিটিংসসহ অসংখ্য মহামূল্যবান জিনিসপত্রে সাজানো ছিল বাড়িটি।

এর সবই খালেদা জিয়া নিয়ে গেছেন বলে দাবি করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ২৯ টি বড় বড় কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে এসব মালামাল স্থানান্তর করা হয়।

খালেদা জিয়ার প্রতিনিধির স্বারিত তালিকা থেকেই এসব জিনিসপত্রের খতিয়ান পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

এ সময় তিনি প্রশ্ন করেন, উল্লিখিত এ তালিকাটি কি তারা অস্বীকার করতে পারবেন?

তিনি বলেন, এছাড়া লোকচুর অন্তরালে অগোচরে কী পরিমাণ মণি-মুক্তা-রতœ ভাণ্ডার সরিয়ে নিয়েছেন তা হয়তো কোনও দিনই কেউ জানতে পারবে না। নিশ্চয়ই এই বিপুল সম্পদ জেনারেল জিয়ার ছেঁড়া গেঞ্জি ও ভাঙা স্যুটকেস থেকে বেরিয়ে আসেনি?

তিনি আরও প্রশ্ন করেন, ২০০৬ সালে মতা ছাড়ার কিছুদিন আগে খালেদা জিয়া বিশেষ বিমানযোগে ৩৫২ টি স্যুটকেস ও লাগেজে যে ধন-সম্পদ সৌদি আরবে পাচার করেছিলেন এবং ওই সময়ের পত্র-পত্রিকায় তা প্রচার হয়েছিল, এর জবাব খালেদা জিয়া কি দেবেন?

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দেশবাসীর মতো আপনারাও নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া মইনুল রোডের বাড়িতে কী ধরনের বিলাসবহুল, বর্ণাঢ্য ও রাজসিক কায়দায় জীবন যাপন করতেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশে যেখানে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যকিষ্ট, অনাহার-অর্ধাহারে জর্জরিত সেখানে খালেদা জিয়ার এ ধরনের ব্যয়-বহুল আয়েশী জীবন যাপনের তথ্যচিত্র দেখে শুধু বাংলাদেশের জনগণই নয়, সারা পৃথিবীর মানুষও হতবাক হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আয়ের উৎস জানতে চেয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে উত্তর দিতে হবে কীভাবে, কোন আয় থেকে খালেদা জিয়া এ ধরনের বিলাসী জীবন-যাপন করতে পারেন? তার আয়ের উৎস জানতে চাওয়ায় দোষ কোথায়?’

সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা মনে করি জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের আকাক্সাকে সার্থকরূপে ধারণ করেই আয়ের উৎস জানতে চেয়েছেন।

তবে গতকাল এক প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, সরকার এখন ওই বাড়ির মালপত্র সম্পর্কে যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সরকার তাদের সাজানো গোছানো জিনিস দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad