ঢাকা: বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা আবারও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি হচ্ছেন।
দলীয় সূত্রমতে, শিগগিরই খোকাকে ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি ঘোষণা করা হবে।
সূত্রমতে, দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, সাদেক হোসেন খোকা আগেও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে খোকার বিরুদ্ধে সংস্কার তৎপরতার অভিযোগ উঠলে ২০০৮ সালের শেষ নাগাদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মহানগর কমিটি ভেঙ্গে দেন।
এরপর বিএনপি চেয়ারপারসন ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে বিকল্প যোগ্য নেতা খুঁজলেও নগর বিএনপিকে সুসংগঠিত করার মতো কোনো নেতা খুঁজে পাননি তিনি।
দলের সিনিয়র এক নেতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগর বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে হলে এই মুহূর্তে সাদেক হোসেন খোকার বিকল্প নেতা নগরীতে নেই। বিরোধী দল হিসেবে আন্দোলন সংগ্রামে সফলতা পেতে হলে ঢাকা মহানগর কমিটিতে একজন শক্তিশালী নেতা দরকার। আর খোকাই সেই নেতা। তাকে আবার নগর বিএনপির সভাপতি করা হচ্ছে খবর ছড়িয়ে পড়ায় নেতাকর্মীরাও চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।
সাদেক হোসেন খোকার ঘনিষ্ঠ এক সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, তারা অনেক দিন ধরেই শুনছেন যে সাদেক হোসেন খোকা আবার মহানগর বিএনপির সভাপতি হচ্ছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগর কমিটি খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এ বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারেই দেখছেন। ’
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নগর কমিটি নেই। সামনে ডিসিসির নির্বাচন আসছে। এর আগেই নগর কমিটি ঘোষণা হতে পারে। ’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম এ বছরের মধ্যেই ঢাকা নগর কমিটি ঘোষণা করতে পারেন। ’
এদিকে ঢাকা মহানগর কমিটি নিয়ে নগরীর দুই প্রভাবশালী নেতা মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকার মধ্যে বিদ্যমান মতপার্থক্য এখন অনেকটা কমে এসেছে বলে মনে করছেন অনেকে। এখন খোকাকে সভাপতি ও মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ কাউকে সাধারণ সম্পাদক করলেই নগরের দলীয় কোন্দল মিটে যাবে বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১০