ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে মির্জা ফখরুল

কৃষকরা বিভিন্ন সময় ন্যায্য দাবির জন্য প্রাণ দিয়েছেন

মান্নান মারুফ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১০
কৃষকরা বিভিন্ন সময় ন্যায্য দাবির জন্য প্রাণ দিয়েছেন

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শুধু কৃষকদের ওপরই নয়, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন ও দমননীতি চালিয়ে আসছে। ’

শনিবার বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি এ কথা বলেন।



বস্তৃত ১৯৭৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রক্ষীবাহিনীর হাতে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ৪৪ কৃষকের প্রাণ হারানোর ঘটনা স্মরণ করেই মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্য।

কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেমে ১৯৭৩ সালে জীবন উৎসর্গকারী কৃষকদের স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ই কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাবির জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তবে কৃষকরা তেভাগা আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ে ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য জন্য প্রাণ দিলেও তারা এখনো তাদের পাওনা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে তাদের অবদান থাকলেও কৃষকরা সময় মতো সারসহ কৃষি উপকরণ পাচ্ছেন না। তারা এখনো জমিদারি প্রথার মতো জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত। ’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রথম বার ক্ষমতায় এসেই খাল খননসহ কৃষি উপকরণ কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। কৃষকদের কথা চিন্তা করে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় গিয়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। ’

মির্জা ফফরুল বলেন, ‘বিগত বিএনপির শাসনামলে যে সারের দাম ছিল ৩শ’ টাকা, তার দাম এখন ৪শ’ টাকা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষি উপকরণের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় গেলে কৃষি খাতের ওপর বিশেষ নজর দেবে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ যথা সময়ে পৌঁছে দেবে। ’

তিনি বলেন, ‘সেচ ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনার সীমা নেই। কৃষি বাজারগুলোতে চাঁদাবাজি বেড়েছে। কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এর ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রান্তিক চাষীরা। সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের জন্য ভালো কিছুই করতে পারেনি। তাদের কাজ হলো মানুষকে নির্যাতন করা। কৃষকদের কল্যাণে কাজ করা নয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।