ঢাকা : ২৭ জুনের হরতালে নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলা, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বুধবার এক ঘন্টার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসকাবের সামনে মানববন্ধন করতে দাঁড়ালে শুরুতেই পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা রাস্তার ওপর বসে পড়েন।
কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণ পরে প্রেসকাবের সামনে আসেন বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। ১১টা ২৯ মিনিটে তিনি মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এতে মহাসচিব অসুস্থবোধ করেন। পরে তাকে প্রেসকাবের ভিতরে মাঠে বসিয়ে রাখা হয়।
এদিকে, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীসহ ১০/১৫ জন নেতা-কর্মী নিয়ে মতিঝিলের জনতা ব্যাংক ভবন চত্বরে অবস্থান নেন। পুলিশ সেখানে তাদের দাঁড়াতে বাধা দেয়। নেতাকর্মীরা তা মানতে না চাইলে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয় এবং শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি ।
নজরুল ইসলাম খান পুলিশের কাছে এর কৈফিয়ৎ চাইলে পুলিশ জানায়, এটা ওপরের নির্দেশ। এরপর তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুটপাতে দাঁড়ালে সেখান থেকেও তাদের হটিয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সরকার কোথাও দাঁড়াতে দিচ্ছে না। এটা অগণতান্ত্রিক আচরণ। সরকার পুলিশি রাষ্ট্র কায়েম করেছে। এটা অন্যায়। বাধা দিয়ে আন্দোলন ঠেকানো যাবে না।
দৈনিকবাংলা মোড়ে ড. আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরাও একই ধরনের বাধার সম্মুখীন হন।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৫০জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর থেকে যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়া সারাদেশে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১০.