রাজশাহী: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও রাজশাহীতে বিএনপিকে কোনোভাবেই ছাড় দিতে নারাজ চার দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত।
রাজশাহীর ১১ পৌরসভার মধ্যে সাতটিতে এককভাবে মেয়র প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে এবার নির্বাচন করতে চায় তারা।
এ সাত পৌরসভায় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন- তাহেরপুর পৌরসভায় উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক শহীদুজ্জামান মীর, গোদাগাড়ী পৌরসভায় আমিনুল ইসলাম, মুন্ডমালায় অধ্যাপক জামিলুর রহমান, কেশরহাটে ডাক্তার হাফিজুর রহমান, কাটাখালীতে মাজেদুর রহমান, দুর্গাপুরে অধ্যাপক শফিকুর রহমান ও আড়ানীতে মুনিরুল ইসলাম। তবে ভবানীগঞ্জ, চারঘাট, তানোর ও কাকনহাট পৌরসভায় তাদের কোনো প্রার্থী থাকছে না।
জেলার পূর্ব জামায়াতের সেক্রেটারি মাইনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহীর সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন করার জন্য দলীয় মেয়র প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন করা হয়। আজকালের মধ্যে এসব মেয়র প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। ’
চারদলীয় জোটের শরীক দল হিসেবে জোটগতভাবে নির্বাচনের প্রশ্নে জেলা পশ্চিম জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে দলের হাই কমান্ড থেকে কোনো নির্দেশনা এখনও আসেনি। এ ধরণের কোনো নির্দেশ এলে স্থানীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
তবে জেলা জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিগত সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীতে তারা একটি আসন চেয়েছিলেন। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। এছাড়া বিগত দিনে রাজশাহীতে জামায়াতের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করা হলেও রাজশাহী বিএনপির ভূমিকা ছিলো রহস্যজনক। সে সময় তারা কোনো সহযোগিতা করেননি। ফলে এবার পৌরসভা নির্বাচনে রাজশাহীতে জোটগতভাবে নয়, এককভাবেই নির্বাচন করবে জামায়াত। ’
এদিকে তফসিল ঘোষণা আর দলীয় মনোনয়নের প্রাথমিক বাছাইয়ের পর রাজশাহীর সাত পৌর এলাকায় জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মতবিনিময় ও গণসংযোগ চালিয়ে যচ্ছেন। এদের অনেকেই এরই মধ্যে নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন পত্র ও হলফনামার ফরম উত্তোলন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১০