ঢাকা: জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনের সমাপনি ভাষণে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা এ দেশের সুস্থ ও সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য বিরাট হুমকি বলে মনে করছে বিএনপি।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় নয়া পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এ কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. মইন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকর মাহাবুব হোসেন, উপদেষ্টা আহম্মেদ আজম খান ও আবদুল মান্নান প্রমুখ।
দেলোয়ার বলেন, ‘গোটা বিশ্বেই সামাজিকভাবে ইতর বিশেষ গালমন্দকে আন-পার্লামেন্টারি কথা বলা হয়। অথচ সংসদে বসেই সংসদনেত্রী বিরোধী দলের নেতার উদ্দেশ করে নানা ফিরিস্থি, কল্পকাহিনী দেখছেন তা কোনো যোগ্য পার্লামেন্টারিয়ানের বক্তব্যে ফুটে ওঠাতো দূরে থাক বরং তার বক্তব্যে প্রতিহিংসা ফুটে ওঠেছে। ’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আয়ের উৎস খতিয়ে দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নিজের নামে (শেখ হাসিনার) ফকরুদ্দিন, মইনউদ্দিনের সময় দায়ের করা ১৫টি দুর্নীতি মামলা ক্ষমতায় জোরে প্রত্যাহার করেছেন নিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে অন্য কোনো অর্থমন্ত্রী আসলে এ মামলাগুলো খতিয়ে দেখতে নির্দেশিত হতে পারেন। ’
তিনি বলেন, ‘মইনউদ্দিন, ফকরুদ্দিনের আমলে দায়ের করা মামলা মিথ্যা হতে পারেনা। ’
দেলোয়ার বলেন, ‘ক্ষমতা কারো চিরস্থায়ী নয়, পরবর্তী সময়ের অন্য অর্থমন্ত্রী এলে এ ফাইল দেখার নির্দেশ দিতে পারেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা প্রকাশ্য দিবালোকে খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছেন। র্যাব, পুলিশ আইএসপিআর দিয়ে উচ্ছেদের পর মিথ্যাচার করে চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন। ’
তিনি বলেন, ‘আসলে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য ট্রানজিট, করিডোর ও কানেকটিভিটির নামে দেশকে ভারতের এক্সটেনশনে পরিণত করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১০