ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মুখে গণতন্ত্রের ফেনা তোলা বিরোধী দল নির্বাচনে হেরে সংসদে যাবে না: এরশাদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১০
মুখে গণতন্ত্রের ফেনা তোলা বিরোধী দল নির্বাচনে হেরে সংসদে যাবে না: এরশাদ

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘বিরোধী দল সারাদিন গণতন্ত্রের  কথা বলে মুখে ফেনা তুলছে।   কিন্তু নির্বাচনে হেরে তারা সংসদে যাবে না।

এ এক অদ্ভূত দেশ। ’

বৃহস্পতিবার সংসদের সমাপনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে বিরোধী দলের সমালোচনা করে এরশাদ এ কথা বলেন।

এ সময় গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে সংসদে এসে জনগণের কথা বলার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

এরশাদ বলেন, ‘বিরোধী দল আসুক আর না আসুক আমরা সংসদ কার্যকর, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত ও মহাজোট সরকারকে সফল করতে চাই।

‘মহাজোটে আছি, মহাজোটে থাকবো’ এমন মন্তব্যও শোনা যায় এরশাদের মুখে।

বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই। গণতন্ত্রকে রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করব। হরতাল করা গণতান্ত্রিক অধিকার। হরতার না করাও গণতান্ত্রিক অধিকার। হরতারের মত দুষ্টচক্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আপনারা সহযোগিতা করুন। ’

তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের পর কোনো সংসদ স্বাভাবিক ভাবে শেষ হয়নি। আমরা এই সংসদকে স্বাভাবিকভাবে শেষ করব। ’

এরশাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সেন্ট পিটাসবার্গের ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের জন্য আমরা গর্বিত। তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে এ ধরনের ডিগ্রি পেয়েছেন। এতে প্রমাণ হয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যোগ্য নেত্রী। ’

এরশাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের যে পদক্ষেপ শুরু করেছেন তাতে জাতি আশান্বিত হয়েছে। আশা করি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। ’

তিনি বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে আমরা প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতায় পৌঁছে গেছি। এটা কৃষিক্ষেত্রে বড় অর্জন। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা জনগণের তুষ্টি অর্জন করেছি। মানুষ অনাহারে নেই। দেশের মানুষ না খেয়ে মরেনি। ১৬ কোটির মানুষের জন্য এটা বড় অর্জন। ’

তিনি বলেন,‘৪০ টাকা চালের দাম এই মুহূর্তে অস্বাভাবিক নয়। চালের প্রতি কেজিতে দশ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। সেটা জাতিকে জানাতে হবে। তাহলে বিভ্রান্তিতে থাকবে না। ’

এরশাদ বলেন, ‘সন্ত্রাসী পুলিশের গুলিতে মারা গেলে বলা হয়-মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। একটি জেলায় যদি ৪০ লাখ মানুষ থাকে তবে একজন সন্ত্রাসীর জন্য ৪০ লাখ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। তখন কি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় না। ’

এরশাদ বলেন, ‘ঢাকায় যানজট এমন একটা পর্যায়ে গিয়েছে  যে বসবাসই মুশকিল হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ১৮০টি গাড়ি রাস্তায় নামছে। এই গাড়ি চলবে কোথায়? ৪০ লাখ লোকের আবাসিক এলাকায় দেড় কোটি লোক বাস করছে। আর কিছু দিন পর ঢাকা বাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। ’

এরশাদ আরো বলেন, ‘উপশহর করলে যানজট কমবে না। উপশহরের সবাই চাকরি বাকরি শিক্ষার জন্য ঢাকায় আসবে। এতে যানজট আরো বেড়ে যাবে। ’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় প্রশাসনকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া। ৭টা প্রাদেশিক সরকার করা গেলে যানজট থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এটা করলে বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে মানুষ শেখ হাসিনাকে আজীবন স্মরণ করবে। ’

ছিটমহল সমস্যার সমাধানের ওপর জোর দিয়ে এরশাদ বলেন, ‘ছিটমহলগুলো শাসন করে অবাংলাদেশিরা। তাই  যতো দ্রুত সম্ভব এই ছিটমহল সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। ’

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।