ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

এবার তিন ভাগে বিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ

রমেন দাশগুপ্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১০

চট্টগ্রাম : এবার তিনভাগে বিভক্ত হয়ে বিজয়মেলার আয়োজন করেছেন নগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তিনটি মেলার নামই ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা।



এর আগে জাতীয় শোক দিবসে চার ভাগ আর জেলহত্যা দিবসে পাঁচ ভাগ হয়ে চট্টগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল নগর আওয়ামী লীগ।

তিন ভাগের মধ্যে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদ’ নগরীর আউটার স্টেডিয়ামে মেলার আয়োজন করেছে।

অন্যদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাংসদ নূরুল ইসলাম বিএসসির নেতৃত্বাধীন ‘সম্মিলিত মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদ’ নগরীর লালদিঘি ময়দানে মেলার আয়োজন করেছে।

এছাড়া সম্প্রতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর প নেওয়া বন্দর এলাকার সাংসদ এমএ লতিফ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বিজয়মেলার আয়োজন করেছেন।

তবে সাংসদ নূরুল ইসলাম বিএসসি ও এমএ লতিফ এবার প্রথমবারের মতো মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার আয়োজন করছেন।

আলাদাভাবে বিজয় মেলার আয়োজন প্রসঙ্গে জানতে দুই সাংসদের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে নূরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলাকে মহিউদ্দিন চৌধুরী জব্বারের বলীখেলা বানিয়ে ফেলেছেন। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই, আছে শুধু ব্যবসা। এ কারণে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আলাদাভাবে বিজয়মেলা করছি। ’

তবে আলাদা আয়োজন প্রসঙ্গে মহিউদ্দিনের অনুসারী নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের মহাসচিব বদিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিএসসি ও লতিফ সাহেব যে এলাকার সাংসদ সেখানে স্থানীয়ভাবে বিজয় মেলার আয়োজন করেছেন। আমাদের আয়োজনটিই হচ্ছে মূল বিজয়মেলা। ’

উল্লেখ্য, গত ২২ বছর ধরে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের সপরে অধিকাংশ প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশে আউটার স্টেডিয়ামে বিজয়মেলার আয়োজন করে আসছে।

তবে বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হওয়া আউটার স্টেডিয়ামের আয়োজনটি শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সপরে সব রাজনৈতিক শক্তির সম্মিলিত আয়োজন থাকলেও সময়ের ব্যবধানে মহিউদ্দিন চৌধুরী এটিকে দলীয় কর্মসূচিতে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

প্রসঙ্গত, নগর আওয়ামী লীগ এতদিন পাঁচ ভাগে বিভক্ত ছিল। এসব অংশের নেতৃত্ব দিতেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিন, কোতয়ালী এলাকার সাংসদ নূরুল ইসলাম বিএসসি, বন্দর এলাকার সাংসদ এমএ লতিফ এবং ছাত্রলীগের সাবেক প্রভাবশালী নেতা আজম নাছিরউদ্দিন।

তবে কেন্দ্রের নির্দেশে ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সম্প্রতি এক হয়েছেন মহিউদ্দিন, আজম নাছির এবং এমএ লতিফ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির ঘোষণা দিয়েছেন ডা. আফছারুল আমীন এবং নূরুল ইসলাম বিএসসি।

বাংলাদেশ সময় : ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।