ঢাকা: যতোদিন পর্যন্ত জালিম সরকারের পতন না ঘটবে, ততোদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে ইনশাল্লাহ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন কর্মসূচি করতে চাই। এ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিলে তার দায়দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। ’
দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সঙ্কট, ৩০ নভেম্বরের হরতালে পুলিশের হামলা-মামলা- প্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিএনপি এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আয়োজন করে।
গত ১ ডিসেম্বর স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরদিন ২ ডিসেম্বর মুক্তাঙ্গনের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন, জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে। কিন্তু দেশের স্বার্থরক্ষায় ব্যর্থ সরকার অন্য দেশের স্বার্থরক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) কি কি চুক্তি করে এসেছিলো তা আমরা জানি না। কিন্তু একে একে দেখছি- তারা বিনাশুল্কে ট্রানজিট দিয়ে দিচ্ছে। আমাদের নৌ-বন্দরগুলো অবাধে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে অন্য দেশ। সরকারের এসব দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণের দাবির মুখে আমাদের এ কর্মসূচি। ’
ঢাকা সিটি মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল মুক্তাঙ্গন থেকে বের হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১০